গোঘাটে পথ দুর্ঘটনা। নিজস্ব চিত্র।
অত্যধিক গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল বাস। মঙ্গবার বিকেলে হুগলির গোঘাটের ওই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের প্রথমে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কয়েক জনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটি বর্ধমান থেকে পাঁশকুড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে গোঘাটের মান্দারণ এলাকায় রাজ্য সড়কের উপরেই সেটি অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে যায়। বাসটির গতি তখন অত্যন্ত বেশি ছিল বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন। সেই সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে উল্টে যায়। উল্টে যাওয়া বাসের তলায় চাপাও পড়েন কয়েক জন। প্রচণ্ড শব্দ এবং যাত্রীদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গোঘাট থানার পুলিশ। নামানো হয় র্যাফ। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩ জন। বাকিদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতরা হলেন, আরামবাগের চাঁদুর এলাকার বাসিন্দা রেহেনা খাতুন(১৪), গোঘাটের তারাহাটের বাসিন্দা অনুপ রায়(২৮) এবং পঞ্চানন দলুই (৪৫)। পঞ্চানন সম্ভবত বাসের চালক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার আগে বাসটির গতি অত্যন্ত বেশি ছিল বলে প্রতক্ষ্যদর্শীদের অভিযোগ। ওই বাসের যাত্রী সবিতা ধারাও একই অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বেশ জোরে চলছিল আমাদের বাসটা। আচমকাই এখটা গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে উল্টে গিয়ে পড়ে রাস্তার ধারে।’’
দুর্ঘটনার আগে বাসটির গতি অত্যন্ত বেশি ছিল বলে প্রতক্ষ্যদর্শীদের অভিযোগ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘‘প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল বাসটি। ওভারটেক করার সময় সামনে কোনও গাড়ি এসে যায়। বাসটি হঠাৎ ব্রেক কষে। ফলে স্প্রিং পাতি খুলে বেরিয়ে যায়।’’ স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত সাঁতরা বলেন, ‘‘বাসের গতিবেগ বেশি থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। ঘুরে গিয়ে পাল্টি খেয়ে যায়।’’ কালীপুর থেকে ওই বাসে ওঠেন নবজীবনপুরের বাসিন্দা সবিতা ধারা। তাঁর কথায়, ‘‘বেশ জোরে চলছিল আমাদের বাসটা। আচমকাই এখটা গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে উল্টে গিয়ে পড়ে রাস্তার ধারে।’’