Madhyamik 2023

মাধ্যমিকের সময় মাইক, বাজির অত্যাচার অব্যাহত

সাগরদিঘিতে উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী জিতেছেন। তাতে উচ্ছ্বসিত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাসা, মাইক নিয়ে হিন্দমোটরে মিছিল করলেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৩ ০৯:০২
Share:

চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। — ফাইল চিত্র।

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। তাতে কী! নানা অনুষ্ঠানে কোথাও তাসা-মাইক নিয়ে মিছিল হচ্ছে। কোথাও দুমদাম শব্দে ফাটছে বাজি। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এই ‘অত্যাচার’ চলছেই। বৃহ্স্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হল না।

Advertisement

এ যেন মানুষের সহ্য ক্ষমতার পরীক্ষা নেওয়া! আইনত নিষিদ্ধ যে জিনিস, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে এই জেলায় প্রশাসনের ‘অনীহা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভুক্তভোগীরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, মাধ্যমিকের সময় মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। আর, বছরের নির্দিষ্ট দিন, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বাজি ফাটার কথা নয়। কিন্তু, কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

সাগরদিঘিতে উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী জিতেছেন। তাতে উচ্ছ্বসিত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাসা, মাইক নিয়ে হিন্দমোটরে মিছিল করলেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। নেতৃত্ব দিলেন কংগ্রেসের পুর প্রতিনিধি (কাউন্সিলর) কামাক্ষ্যানারায়ণ সিংহ। বিপিন ভিলা মোড় থেকে হিন্দমোটর বাজার পর্যন্ত ওই বিজয়-মিছিল হয়। মাধ্যমিকের সময় তাসা-মাইকের প্রশ্নেকামাক্ষ্যার সাফাই, ‘‘মিছিল অল্প সময়ের জন্য হয়েছে।’’

Advertisement

ভদ্রেশ্বরের সুভাষ ময়দানের কাছে একটি অনুষ্ঠান-বাড়িতে দু’-তিন দিন ধরে জোরে গান এবং বাজির অত্যাচার চলেছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা, বিশেষত বয়স্ক লোকজনের একাংশের অভিযোগ, বিয়ে বা অন্য নানা অনুষ্ঠানেই এখানে তারস্বরে গান বাজে। গভীর রাত পর্যন্ত বিকট শব্দে বাজি ফাটে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে ভদ্রেশ্বর থানা, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট, চন্দননগর মহকুমা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয় নাগরিক মঞ্চের তরফে।

পুলিশের দাবি, অভিযোগ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। এ দিন ছোট আকারের বক্স বাজছিল কিছুটা জোরে। তা বন্ধ করা হয়। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, ‘‘সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’

অনুষ্ঠান বাড়িতে জোরে গান বা মাঝরাত পর্যন্ত বাজির অত্যাচার শুধু ভদ্রেশ্বর নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা চান, প্রশাসন সমস্ত অনুষ্ঠান বাড়ির মালিককে এ ব্যাপারে সতর্ক করুক এবং আইন ভাঙা হলে কড়া ব্যবস্থা নিক। এই দাবি অনেক দিন ধরেই উঠছে। প্রশাসন আদৌ কড়া হয় কি না, সেটাই প্রশ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement