চুঁচুড়ায় বধূর রহস্যমৃত্যু। নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের মাত্র চার মাসের মধ্যে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল শ্বশুরবাড়ি থেকে। বাপের বাড়ির অভিযোগ, খুন করে তাঁদের মেয়েকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির চুঁচুড়ার বুনো মসজিদতলা এলাকায়। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী এবং শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
চলতি বছরের মার্চে মগরার বাসিন্দা জয়িতা সরকারের সঙ্গে মৃন্ময় সরকারের বিয়ে হয়। রবিবার রাতে জয়িতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। জয়িতার বাড়ির লোকের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের পরই মৃন্ময়ের বাড়ি থেকে পণের চাপ দেওয়া হত বলে দাবি। তাঁরা এ-ও জানান, মেয়েকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হত না। জয়িতার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত। জয়িতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দেওর— সবাই তাঁকে নির্যাতন করতেন।
যদিও মৃতার শাশুড়ির দাবি, সব কিছুই ঠিক ছিল। সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না। তাঁর কথায়, ‘‘দুধ গরম করে দিয়েছিলাম। বৌমা দুধ খায়। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এক সঙ্গে টিভিতে ধারাবাহিকও দেখি। কিছু ক্ষণ দেখার পর ও ঘরে চলে যায়। ১১টা বেজে গিয়েছিল। আমি উপরের ঘরে গিয়ে ওকে খাবার খেতে ডাকি।’’ একটু থেমে তিনি আরও বলেন, ‘‘একটু পরে বৌমার মা ফোন করে বলেন জয়িতাকে ফোনে পাচ্ছেন না। তখন আবার ডাকাডাকি করতে গিয়ে দেখি, ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডেকেও সাড়া পাইনি। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি, ও ঝুলছে!’’
মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। আটক হয়েছেন স্বামী ও শ্বশুর।