West Bengal Panchayat Election 2023

স্কুল ও কলেজ বাদ, বাহিনীকে রাখতে জায়গার খোঁজ হাওড়ায়

বর্তমানে গোটা জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ৩০৩১। এতগুলি বুথের প্রতিটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করতে হলে হাওড়ায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী থাকার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩ ০৮:১৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অন্যান্য বারের মতো এ বার আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্কুল-কলেজে রাখা যাবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশ দেওয়ার পরেই ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনে অসুবিধার কথা বিবেচনা করে পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করতে চলেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। শনিবার এ বিষয়ে পুলিশকর্তা এবং বিডিও-দের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, কর্মতীর্থের মতো কোনও সরকারি জায়গা অথবা অনুষ্ঠান বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই জায়গা খুঁজতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট বিডিও এবং পুলিশকর্তারা।

Advertisement

হাওড়া জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১০২টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ৪৭০টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ৪২টি আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে হাওড়া সদরের পাঁচটি ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত আসন রয়েছে ১৩৯০টি, পঞ্চায়েত সমিতি আসন রয়েছে ২০১টি এবং জেলা পরিষদ আসন রয়েছে ১৫টি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে গোটা জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ৩০৩১। এতগুলি বুথের প্রতিটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করতে হলে হাওড়ায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী থাকার কথা। যদিও শনিবার পর্যন্ত মাত্র এক কোম্পানি বাহিনী এসেছে উলুবেড়িয়ার জন্য। গোটা জেলার জন্য কত কোম্পানি আসবে, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।

তবে, এ বার বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে ধরে নিয়েই বিডিও-দের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এর জন্য স্কুল-কলেজ বাদ দিয়ে দ্রুত সরকারি জায়গা বা অনুষ্ঠান বাড়ি ভাড়া নিতে বলা হয়েছে। স্কুল-কলেজে জওয়ানদের না রাখার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের বক্তব্য,স্কুল-কলেজে বাহিনীকে রাখা হলে সেগুলি প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ রাখতে হবে। তাতে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনিতেই দীর্ঘ গরমের ছুটিতে পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘কিছু দিন আগেই গ্রীষ্মের ছুটির পরে স্কুল-কলেজ খুলেছে। বাহিনীকে যদি স্কুল-কলেজে রাখা হয়, তা হলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে কথা বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশন স্কুল-কলেজ বাদ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে, সরকারি জায়গা বা অনুষ্ঠান বাড়ি একান্তই পাওয়া না গেলে তখন স্কুল-কলেজে রাখা হবে কি না, তা বিবেচনা করে দেখা হবে।’’ ওই কর্তা জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোথায় রাখা হবে, সেই বিষয়টি বিডিও-দের পাশাপাশি পুলিশকেও দেখতে বলা হয়েছে। যেখানে তাদের রাখা হবে, সেখানে থাকার মতোপরিকাঠামো, অর্থাৎ বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত জল, শৌচাগার, স্নানের জায়গা আছে কি না— তা দেখবে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জেলার পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement