ভারত কো-অপারেটিভের জমি দেখছেন বিডিও-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
ভূগর্ভস্থর পরিবর্তে গঙ্গার জলকে শোধন করে এলাকার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজটা শুরুর কথা ছিল প্রায় সাত বছর আগে। জমিজটের কারণে সে প্রকল্পে গতি মেলেনি। অবশেষে জমিজট কেটেছে। সম্প্রতি সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে সাঁকরাইল স্টেশন সংলগ্ন ভারত কো-অপারেটিভের ন’বিঘা জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার করে কাজের বরাতও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ব্লক প্রশাসনের।
এই প্রকল্প প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘জলস্তর ক্রমশ কমছে। তাই ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমাতে এই প্রকল্প দ্রুত শুরুর চেষ্টা চলছে। আশা করি, তিন বছরের মধ্যেই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন এলাকাবাসী।’’
সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, ‘‘আগামী ৩০ বছরে মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প করা হচ্ছে। সাঁকরাইলের পাশাপাশি ডোমজুড়, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের একাংশের বাসিন্দারাও এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। ২০১৬ সালে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৭০ কোটি টাকা। এখন সেই বরাদ্দ বাড়তে পারে।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে ২০১৬ সাল নাগাদ কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যেোগে সাঁকরাইলে এই জলপ্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে এই কাজের জন্যে জমি চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু পরে সেই জমি পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। যার জেরে প্রকল্পের কাজ আর এগোয়নি। ওই প্রকল্পের জন্য ১৫ বিঘা জমি প্রয়োজন থাকলেও ভারত কো-অপারেটিভের মধ্যে জমি মিলেছে ন’বিঘা। তবে প্রকল্পটি আর ফেলে না রেখে ওই জায়গাতেই কাজ শুরু হবে বলে খবর। পরে জমি মিললে প্রকল্পের অন্যকাজ করা হবে। তবে ইতিমধ্যে মানিকপুরে গঙ্গার জল সংগ্রহের জন্য ইনটেক প্লান্টেরর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাওড়া জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জমিজটে কাজটা শুরু হতে দেরি হয়েছে। তবে দ্রুত গতিতে সব পদ্ধতি চলছে।’’