Shitaltala Flooded

জল নামে না বুড়িখালে, বর্ষায় ভাসে শীতলাতলা

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানকার নিকাশি ব্যাবস্থা প্রধানত স্থানীয় বুড়িখালের উপরে নির্ভরশীল। আগে বৃষ্টির জল জমলেও অল্প সময়ের মধ্যেই বেরিয়ে যেত।

Advertisement

অরিন্দম বসু

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৪ ০৮:৫৪
Share:

এ ভাবেই জমে থাকে জল। ফাইল চিত্র।

বৃষ্টির নাম শুনলেই চিন্তায় পড়েন সাঁকরাইলের বানুপুর ২ পঞ্চায়েতের রাজগঞ্জ শীতলাতলার বাসিন্দাদের একাংশ! কেননা, বেহাল নিকাশির কারণে এ তল্লাটে বৃষ্টির জল নামতে চায় না! জমা জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। খাটালের বর্জ্য সেই জলে মিশে পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়।

Advertisement

সামনেই বর্ষা। যাতে একই বিপত্তি না হয়, সেই দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতে গণস্বাক্ষর করা আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে, প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে তাঁদের দাবি।
ইতিমধ্যে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই এলাকা
জলমগ্ন হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানকার নিকাশি ব্যাবস্থা প্রধানত স্থানীয় বুড়িখালের উপরে নির্ভরশীল। আগে বৃষ্টির জল জমলেও অল্প সময়ের মধ্যেই বেরিয়ে যেত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে জল সরতে বেশ কিছু দিন সময় লাগছে। তাঁদের ক্ষোভ, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারণে পলি জমেছে বুড়িখালে। কমেছে নব্যতা। তাতেই এই পরিস্থিতি। তার উপরে খাটালের বর্জ্য জলে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

Advertisement

পঞ্চায়েতের শিল্প সঞ্চালক তপন দাস বলেন, ‘‘বুড়িখাল দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় জমা জল নামতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে, বাড়ছে ভোগান্তি। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বারবার বুড়িখাল সংস্কারের কথা জানালেও কোনও লাভ হয়নি। খালটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’’ তাঁর
আরও বক্তব্য, এলাকার একটি খাটালের আবর্জনা পাশের একটি
ছোট খালে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা হয়। ফলে, সেই খাল প্রায় বুজে
গিয়েছে। তাতে বিপত্তি বেড়েছে। শুধু বর্ষা নয়, গঙ্গায় বড় জোয়ার এলেও বুড়িখাল দিয়ে সেই জল এসে এলাকায় দাঁড়িয়ে যায়।

ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বুড়িখাল সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’

স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা খাঁড়া, মৌসুমি মান্না, বিজয় সর্দার, তুলিকা বন্দোপাধ্যায়রা জানান, বর্ষাকালে এখানে বসবাস করা দুঃসহ হয়। নোংরা জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা হয়। জমা জলের কারণে মশা, পোকামাকড়ের উৎপাত শুরু হয়। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার ভয় বাড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement