Primary School

শিক্ষকেরা ‘অনিয়মিত’, বিক্ষোভ প্রাথমিক স্কুলে

মঙ্গলবার স্কুলের মিড-ডে মিল সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে রুটিনমাফিক ব্লক অফিসে ডাকা হয়েছিল। তিনি মিড-ডে মিলের আলু কিনে রেখে নথিপত্র নিয়ে ব্লক অফিসে চলে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

মোট তিন জন শিক্ষক রয়েছেন গোঘাটের কুমারদিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়মিত ভাবে স্কুলে আসার অভিযোগ ছিলই গ্রামবাসীদের। মঙ্গলবার সকালে প্রধান শিক্ষক কিছুক্ষণের জন্য স্কুলে এসেছিলেন। বাকি দু’জন আসেননি। ফলে, পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। প্রতিবাদে বুধবার সকালে স্কুলে ঢোকার মুখেই প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত দাসকে আটকে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসী প্রধান ওই গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা দিলে স্কুল খোলার নির্দিষ্ট সময়ে বিক্ষোভ বন্ধ হয়। তিনি গ্রামবাসীদের জানান, মঙ্গলবার স্কুলের মিড-ডে মিল সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে রুটিনমাফিক ব্লক অফিসে ডাকা হয়েছিল। তিনি মিড-ডে মিলের আলু কিনে রেখে নথিপত্র নিয়ে ব্লক অফিসে চলে যান। মধুসূদন মেমো নামে এক শিক্ষক অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছেন। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় পার্শ্বশিক্ষিকা অপর্ণা পণ্ডিতও আসেননি।

প্রধান শিক্ষক বলেন, “গ্রামবাসীদের পুরো বিষয়টা জানিয়ে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তাঁদের পক্ষে প্রশাসনিক স্তরে কোনও অভিযোগ না থাকলেও বিষয়টা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে জানিয়েছি।” গ্রামবাসীদের মধ্যে সৌমেন হেমব্রমের অভিযোগ, “এমনিতেই হামেশাই অনিয়মিত স্কুল আসেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার যা হল, তাতে আদিবাসী পড়ুয়াদের পাঠদান নিয়ে উদসীনতা নিয়েই আমাদের ক্ষোভ।” হামেশাই অনিয়মিত স্কুলে আসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement