ছবি ফেসবুক।
করোনা আবহে পুরকর আদায়ে গত দু’বছরে জোর দেওয়া যায়নি। ফলে, উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডে বহু টাকা পুরকর বকেয়া রয়েছে। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বেশি টাকা বকেয়া, বুধবার থেকে
তাঁদের নোটিস পাঠানো শুরু করলেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৩৫০টি ক্ষেত্রে অন্তত ৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে হিন্দমোটর কারখানা। তাদের বকেয়া করের পরিমাণ আড়াই কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘সকলের কাছে অনুরোধ, নির্দিষ্ট সময়ে পুরকর মিটিয়ে দিন। তার সাপেক্ষে পরিষেবা নিন। যাঁদের কর অনেকটাই বাকি পড়ে গিয়েছে, পুরো টাকা একসঙ্গে মেটাতে সমস্যা হলে কিস্তির মাধ্যমে দিন।’’ তাঁর সংযোজন, শুধু হিন্দমোটর কারখানা থেকেই প্রায় আড়াই কোটি টাকা বকেয়া। ওই অন্যতম ডিরেক্টর উত্তম বসু বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০ হাজার টাকার উপরে কর বাকি রয়েছে, এমন নাগরিকদের পর্যায়ক্রমে নোটিস ধরানো হবে। সাধারণ নাগরিক বাদেও এই তালিকায় বিভিন্ন কল-কারখানা, ইটভাটা, নার্সিংহোম, আবাসন, শপিং মল-সহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
এই শহরে বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। সম্প্রতি পুরসভার তরফে বকেয়া করের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। তালিকাতেই দেখা যাচ্ছে, হিন্দমোটর কারখানা লাগোয়া জায়গায় একটি বড় আবাসন প্রকল্প হচ্ছে। সেখানে পাশাপাশি তিনটি ভিন্ন ঠিকানার মধ্যে দু’টিতে পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা বকেয়া। অপর ঠিকানায় বকেয়া দু’লক্ষেরও বেশি টাকা। মাখলার একটি বন্ধ সিনেমা হলের বকেয়া করের পরিমাণ দেড় লক্ষ টাকার কাছাকাছি। মাখলার ৩৯টি ইটভাটারই কর বকেয়া। তার মধ্যে একটি ইটভাটার বকেয়া সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। অন্য একটির ক্ষেত্রে এই অঙ্ক প্রায় চার লক্ষ টাকা।
গত কয়েক বছরে শখের বাজার থেকে কোতরং পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বড় শপিং মল হয়েছে। পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, বিধি অনুযায়ী ওই সব মলের মালিকানার কাগজপত্র পরিবর্তন করার কথা। কিন্তু তা এখনও হয়নি। দু’টি মলের ক্ষেত্রে বহু টাকার কর বাকি পড়েছে। কোতরংয়ের একটি নার্সিংহোমের প্রায় ৩ লক্ষ টাকা কর বাকি রয়েছে। পুরসভার আয় বাড়াতে দ্রুত এই সব বকেয়া কর আদায় করতে চাইছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।