উত্তরপাড়া জলপ্রকল্পে এইসব যন্ত্রের মাধ্যমেই ২৪ ঘন্টা জলের মান পরীক্ষা করা হয়। নিজস্ব চিত্র।
ভাল মানের পানীয় জল সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার পাচ্ছে উত্তরপাড়া এবং চাঁপদানি পুরসভা। কেন্দ্রীয় আবাস ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সমীক্ষায় হুগলির এই দু’টি পুরসভাকে ওই পুরস্কারের জন্য বাছা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ রাজ্যের মোট ১১টি পুরসভা ওই পুরস্কার পাচ্ছে।
আগামী ৫ মার্চ দিল্লিতে বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ওই পুরস্কার তুলে দেবেন। কেন্দ্রেরসংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব ডি থারার দফতর থেকে ইতিমধ্যেইএই খবর জানিয়ে রাজ্য সরকার এবং ওই সব পুরসভায় আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী পুরকর্তারা দিল্লিতে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করবে বলে খবর।
উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘কোনও কাজে পরিশ্রম করে স্বীকৃতি পেলে কার না ভাল লাগে! এই পুরস্কার আমাদের পুরসভার দলগত সাফল্য।’’ চাঁপদানির পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থেকে চিঠি পেয়েছি। খুবই ভাল লাগছে।’’
রাজ্যে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকায় ‘অম্রুত’ প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৬ সালের মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য কাজ করছে। এ রাজ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। কিছু এলাকায় বকেয়া থাকলেও বহু এলাকায় ওই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, জলের মান, মাটির নীচে পাইপ লাইন বসানোর পাশাপাশি নদীতে জেটি নির্মাণে দক্ষতা— মূলত এই তিনটি বিষয়ের উপরেই কেন্দ্রের আবাস ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষার কাজে দিল্লি থেকে বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এ রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে। উত্তরপাড়া পুরসভার বাবুঘাটের জলপ্রকল্পে আধুনিক প্রযুক্তির একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে, যার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা সরবরাহ করা জলের মান জানা যাবে। কোথাও কোনও বিচ্যুতি থাকলে দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে। মনে করা হচ্ছে, এই প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরপাড়া পুরসভার পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।