উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি। নিজস্ব চিত্র
গঙ্গার পাড়ে উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন ঘাটে আলো আর ধ্বনির মাধ্যমে ফুটে উঠবে শহরের ইতিহাস। ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে উলুবেড়িয়া পুরসভার এ ভাবে নদীপাড়ের সৌন্দর্যায়নের ভাবনা আদায় করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার। এই ভাবনা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশও মিলেছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এই কাজে মূল অর্থ জোগাবে কেন্দ্রীয় সরকারই। তবে কিছুটা খরচ হবে পুরসভারও। তারই হিসেব চলছে।
পুরসভার মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক রজত মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের এই শহর বহু পুরনো। তার ইতিহাস আর ঐতিহ্য ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। এর জন্য বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া হবে।’’ আর পুরপ্রধান অভয় দাসের কথায়, ‘‘গঙ্গার দূষণ রোধে আমরা যা যা ব্যবস্থা নিয়েছি তা কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রশংসা পেয়েছে। এ বার কালীবাড়িতে আলো ও শব্দের খেলা উলুবেড়িয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।’’
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে সল্টলেকে রাজ্য প্রশাসনিক কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দু’দিনের একটি আলোচনাসভা হয়েছিল। বিশ্ব ব্যাঙ্ক, রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের যৌথ উদ্যোগে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে কী ভাবে ভাল কাজ করা যায়, সেই আলোচনায় হুগলি নদী সংলগ্ন ২২টি পুরসভাকে ডাকা হয়। সেখানে উলুবেড়িয়া পুরসভার তরফে গঙ্গা দূষণ রোধ করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ইতিমধ্যে তাঁরা গঙ্গায় যোগ হওয়া ১৭ টি খালের মুখ জাল দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। ফলে, খালবাহিত প্লাস্টিক বর্জ্য আর নদীতে পড়ে না।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা হিসেবে পুরসভার তরফে জানানো হয়, খালগুলি সাফ করতে নিয়মিত যে কচুরিপানা তোলা হয়, সেগুলি প্রক্রিয়াকরণ করে হস্ত শিল্পজাত দ্রব্য বানানো হবে। খাল থেকে তোলা প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা করা হবে। বাউড়িয়ায় হুগলি নদীর ঘাটকে পরিবেশবান্ধব করে গড়া হবে। আর জানানো হয়, উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন ঘাটে করা হবে ‘লাইট ও সাউন্ড’। এরপরই কেন্দ্রীয়
সরকারের তরফে এই প্রকল্পকে সেরা ঘোষণা করা হয়।