ওটি রোডে নিত্যদিন লেগেই থাকে এই যানজট। নিজস্ব চিত্র
প্রকল্প তৈরি হয়েছিল তিন বছর আগে। কিন্তু উলুবেড়িয়ায় বাইপাস রাস্তা তৈরির কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনও জানা গেল না। পুর কর্তৃপক্ষ এ জন্য গত শুক্রবার ফের চিঠি দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে।
পুরসভার চেয়ারম্যান অভয়কুমার দাস জানান, পুরসভার তরফ থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য নিয়মিত চিঠি দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী পুলক রায়ও বিষয়টি দেখছেন। উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘বাইপাস রাস্তার কাজটি করবে কেএমডিএ। আমি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’’
তবে, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, টাকার অভাবেই কাজটি করা যাচ্ছে না। অর্থ দফতর টাকা বরাদ্দ করলেই কাজ শুরু হবে।
উলুবেড়িয়া শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে ওটি রোড। গঙ্গারামপুর থেকে মহকুমাশাসকের দফতর পর্যন্ত এই রাস্তা প্রায় তিন কিলোমিটার বিস্তৃত। শহরের সব গাড়ি এই রাস্তাই ব্যবহার করে। ফলে, অধিকাংশ সময় যানজট হয়। বছর তিনেক আগে খুলে দেওয়া হয়েছে উলুবেড়িয়া রেল উড়ালপুল। সেই কারণে ওটি রোডে গাড়ির চাপ বেড়েছে। স্টেশন মোড়, গরুহাটা মোড়ে যানজট লেগেই থাকে। শনিবার গরুহাটা মোড়ে হাট বসে। হাটের দিনে এই এলাকায় ওটি রোড কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
শহরকে যানজটমুক্ত করতে ওটি রোডের সমান্তরালে মেদিনীপুর ক্যানেলের পাড় দিয়ে বাইপাস রাস্তার পরিকল্পনা করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। প্রথমে ঠিক ছিল পুরসভাই রাস্তাটি করবে। কিন্তু খরচের বহর দেখে পুরসভা পিছিয়ে আসে। তারা আবেদন করায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর রাস্তার কাজে সায় দেয়। কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেএমডিএ-কে। ৩২ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়। প্রায় তিন বছর আগে সেই প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হলেও রাস্তার কাজ আর শুরু হয়নি।
পুরসভার পূর্ত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পারিষদ আকবর শেখ বলেন, ‘‘সেচ দফতরের সঙ্গে আমরা কথা বসেছিলাম। তারা মেদিনীপুর ক্যানেলের পাড়ে রাস্তা তৈরির অনুমতি দিয়েছে। রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।’’