নিজস্ব চিত্র
ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাঁইথিয়া, দিনহাটা, বজবজ পুরসভায় কার্যত দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। তা নিয়ে বিতর্কে আবহে এ বার ভোটের আগেই দলীয় প্রার্থীদের কাউন্সিলর প্যাড ছাপিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন চন্দননগরে বিধায়ক তথা রাজ্যের তথ্যসংস্কৃতি ও পর্যটন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
বৃহস্পতিবার চন্দননগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনিমেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার গিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘সদ্যোজাতরাও জানে, এ বার পুরভোটে তৃণমূলই জিততে চলেছে। চন্দননগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে রসগোল্লা পাবে বিজেপি।’’
এর পরেই গায়ক-রাজনীতিক দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘’১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা। সব প্রার্থীদের বলছি, আপনারা আগে থেকেই কাউন্সিলর প্যাড তৈরি করে রাখুন। জয়ের পর মানুষকে পরিষেবা দিতে কোনও দেরি যাতে না হয়। ১৫ তারিখ থেকে পরিষেবা দিতে হবে।’’
হুগলিতে বিজেপি-র যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘মন্ত্রী মশাই যা বলেছেন, তার অর্থ ভোটারদের আর ভোট দেবার দরকার নেই। তৃনমূল সব জিতে গেছে, তাই ভোটের দিন আর বুথে না গেলেও চলবে। নির্বাচন কমিশনেরও এত টাকা খরচ করে ভোট করার প্রয়োজন ছিল না। আসলে এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষকেই প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হল। আমরা জানি, সাধারণ ভোটাররা যদি ভোট দিতে যান, তা হলে তৃণমূল মুছে যাবে।’’
চন্দননগরের সিপিএম নেতা গোপাল শুক্লা বলেন, ‘‘এখানে তৃণমূল ৩৩-০-তে জিতলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’