গা ভর্তি গয়নায় তৃণমূল কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
সোনার গয়নার প্রতি তাঁর দুর্বলতা এমনই যে, ঘনিষ্ঠরা বাপ্পি লাহিড়ী বলে ডাকেন। তিনি তৃণমূল কর্মী সুনীল দাস। ডাকনাম লঙ্কারাজা। তাল তাল সোনার গয়না পরে ঘোরেন তিনি। শুক্রবার সেই লঙ্কারাজা নজর কাড়লেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে। চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা। আমদাবাদ গ্রামে তাঁর প্রচারসঙ্গী ছিলেন লঙ্কারাজা। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনাকে দেখতে যত মানুষ ভিড় করেছেন, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকে ‘বিস্মিত’ হয়েছেন লঙ্কারাজাকে দেখে।
কথায় বলে ‘সোনে কি লঙ্কা’। লঙ্কারাজাকে দেখলে তা মনে পড়তে বাধ্য। তিনি তাল তাল সোনার গয়না পরে ঘোরেন ভয়ডরহীন ভাবে। গলায় সরু-মোটা নানা রকমের হার। একটিতে আবার শিব-কালী, বজরংবলী এবং গণেশের লকেট। দুই হাতে নানা রকমের ‘ব্রেসলেট’, বালা। দু’হাতের ১০ আঙুলেই সোনার আংটি। এক একটি আঙুলে একাধিক আংটি। রচনার প্রচারে ‘ভিকট্রি’ সাইন দেখাতেই কালো পোশাক পরিহিত ওই তৃণমূল কর্মীর হাতে চকচক করে উঠল সোনার সব অলঙ্কার।
রচনার প্রচারে ‘সোনায় মোড়া’ তৃণমূল কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
ভয় পান না এত সোনার গয়না পরে ঘুরতে? চোর, ছিনতাইবাজেরও তো ভয় থাকে? লঙ্কারাজার জবাব, ‘‘ভয় করবে এমন লোকের সঙ্গে মিশিই না।’’ কত সোনা আছে? তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘কত আছে মাপা নেই। আমার শখ, তাই পরি।’’