(বাঁ দিকে) অপর্ণা সেন। (ডান দিকে) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন অভিনেত্রী এবং চিত্রপরিচালক অপর্ণা সেন। সরকারপক্ষকে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করার আবেদন জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শ্রীরামপুরের সাংসদ মন্তব্য করেন, ‘‘অপর্ণামাসিরা মনে করে তারাই মমতাকে গদিতে বসিয়েছে। মমতার কোনও দাম নেই।’’ পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন নিয়ে কল্যাণের দাবি, তাঁদের ভুলপথে চালিত করা হচ্ছে।
সোমবার ১০ দিনে পড়েছে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। তিন জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার এখনও অনশন করছেন। এ নিয়ে কল্যাণের খোঁচা, ‘‘এটা আমরণ অনশন কোথায়? ফাস্টিং আপটু হসপিটালাইজেশন হচ্ছে। এক জন অনশনে বসছে। তার পর হাসপাতালে চলে যাচ্ছে। রিলে অনশন হচ্ছে।’’ তার পরেই অপর্ণাকে নিশানা করেছেন কল্যাণ। ৬৭ বছরের সাংসদের মন্তব্য, ‘‘অপর্ণামাসিদের মতো মহিলারা এমন হাবভাব করছে, যেন ওদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গদিতে বসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ক্যালিবার নেই। এমন দু’এক জন বিবৃতি দিচ্ছে, যেন তারাই খেটেখুটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এসেছে (ক্ষমতায়)। যেন ওদের জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছে। তার নিজের কোনও দাম-ই ছিল না।’’ এখানেই থামেননি কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘অপর্ণামাসিরাই সব গুলিয়ে দিচ্ছে। আর তো ও দিদি নেই, মাসি হয়েছে। এটা অন্তত বুঝতে চেষ্টা করুক।’’
কল্যাণের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি সাংসদের মন্তব্য শুনেই হো-হো করে কয়েক সেকেন্ড হাসেন। হাসি থামিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এটাই ওঁর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া।’’
বস্তুত, চিকিৎসকদের আন্দোলনমঞ্চে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা যাচ্ছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন গায়িকা মৌসুমি ভৌমিক। সেই প্রসঙ্গ তুলে কল্যাণ বলেন, ‘‘আন্দোলনে আবার কোনও কোনও গায়িকাকে ভাড়া করে নিয়ে আসছে। একটু গান-টান গাইবে।’’ তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা রাজনৈতিক নেতাদের মঞ্চে স্থান দিচ্ছেন না এক প্রকার ভয়ে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন এতে তাঁরা চিহ্নিত হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দল থেকে নেতাদের আনা হচ্ছে। কল্যাণের কথায়, ‘‘আসলে ভিড় চাই। তাই অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে আসছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তার ওরা। বাচ্চা ছেলে। ওদের একটু সুপথে চালিত করতে পারত। কিন্তু কয়েকটা মাথা আছে। শয়তানি বুদ্ধি আছে। তারাই বাচ্চাগুলোকে নষ্ট করছে।’’ অন্য দিকে, কল্যাণের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘চকোলেট, স্যান্ডউইচ খেয়ে আন্দোলন করি না আমরা।’’