এখান থেকেই জিনিস চুরির অভিযোগ উঠেছে। আরামবাগের হরিণখোলায়। নিজস্ব চিত্র
আরামবাগ থেকে চাঁপাডাঙা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার চার লেনের কাজে ঠিকাদার সংস্থার নানা ইমারতি দ্রব্য চুরির অভিযোগ উঠছিল লাগাতার। দিন কয়েক আগে হরিণখোলায় একটি কালভার্টের লোহার প্লেট চুরির ঘটনায় চার তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তার মধ্যে এক জনকে ধরেছে পুলিশ। বাকি তিন জন পলাতক।
একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক। পুলিশ জানায়, ধৃত শেখ সামসু্দ্দিন দর্জিপোতা গ্রামের বাসিন্দা। বকি তিন অভিযুক্ত কবির খান, গিয়াসুদ্দিন খান এবং সাগর মালিক পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।
চুরির ঘটনায় গাড়ির চালক ছাড়াও অভিযুক্ত স্থানীয় কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারবার চুরির ঘটনায় ওই নিরাপত্তা পরিষেবা সংস্থারও ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত আবার ঠিকাদার সংস্থার নিয়োগ করা নিরাপত্তা পরিষেবা সংস্থার ইনচার্জকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের হরিণখোলা ২ অঞ্চল সম্পাদক শেখ মইদুল সরকারের বিরুদ্ধে। মামলা অবিলম্বে তুলে নিতে হবে মইদুল হুমকি দেয়েছেন বলে ওই নিরাপত্তা পরিষেবা সংস্থার ইনচার্জ দেবাশিস দাসের অভিযোগ। মইদুল হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “দলের নিরীহ ছেলেদের কেন ফাঁসানো কেন হল তা জানতে চেয়েছি। প্রকৃত চোরদের ধরতে বলেছি।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অঞ্চল নেতার বিরুদ্ধে চোরেদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে দল বিব্রত। দলের স্থানীয় একটা অংশের অভিযোগ, বিষয়টা নিয়ে ব্লক নেতৃত্ব পদক্ষেপ না নিলে পঞ্চায়েত ভোটে ভুগতে হবে। তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি শিশির সরকার বলেন, “চুরি এবং চোরদের প্রশ্রয় দেওয়ার বিষয়টা আমার এখনও অজানা। বিষয়টা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশও আইনগত পদক্ষেক করুক”।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদার সংস্থার মালপত্র চুরির ঘটনা গত বছর দুই ধরে বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও গত ৬-৭ মাস ধরে তা বেড়েছে। নিরাপত্তা পরিষেবা সংস্থার অভিযোগ, গত কয়েক মাসেই প্রায় ৪ লক্ষ টাকার লোহার সরঞ্জাম চুরি হয়েছে। প্রতিবারই খোয়া যাওয়া মালের বিবরণ দিয়ে অভিযোগ করা হয়। মাল উদ্ধার হয়নি।
সম্প্রতি গত ৪ এপ্রিল রাতে ১টা নাগাদ হরিণখোলা সেতুর নিচে মজুত রাখা লোহার সরঞ্জাম চুরির সময় শব্দ পেয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা টর্চের আলোয় এলাকারই চারজনকে দেখতে পায়। তারা মাল ফেলে পালালেও নিজের চার জোড়া জুতো পড়ে থাকে সেখানে। তারপরে ফের বৃহস্পতিবার দুপুর ২ট নাগাদ ওই চারজনই একটা ১০৭ গাড়ি এনে হরিণখোলা পিরতলা ১ নম্বর সেতু নির্মাণের লোহার খাঁচা চুরি করে গাড়িতে বোঝাই করছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে চারজন দৌড়ে পালালেও তাদের ভাড়া করা গাড়ি এবং চালককে দরে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়।