সাঁতরাগাছি সেতু। — ফাইল চিত্র।
আগামী সপ্তাহের শেষ দিক থেকে দেড় মাসের জন্য কাজ শুরু হবে হাওড়ার সাঁতরাগাছি সেতুতে। তার জেরে রাতে বন্ধ থাকবে ওই সেতু। ঠিক কবে থেকে ওই সেতুর কাজ শুরু হবে, তা চূড়ান্ত না হলেও আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেটি রাতে বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে শেষ পর্যন্ত কত দিন ওই সেতু বন্ধ রাখা হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ দিকে, ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলে গাড়ি কোন রাস্তা দিয়ে চলবে, তা নিয়ে বুধবার নবান্নে হাওড়া এবং কলকাতা পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ওই সেতুতে কাজ শুরু হলে রাতে সব গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত একটি লেন দিয়ে গাড়ি চলবে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, কলকাতা বন্দর এলাকা থেকে যে সব পণ্যবাহী গাড়ি রাতে শহরের বাইরে যায়, সেগুলি বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে হাওড়া-আন্দুল রোড-আলমপুর-ধূলাগড় হয়ে যাবে। বন্দর এলাকার বাইরের যে সব পণ্যবাহী গাড়ি কলকাতার বাইরে যাবে, তাদের চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ বা এপিসি রোড দিয়ে শ্যামবাজার, টালা সেতু হয়ে নিবেদিতা সেতু ধরতে হবে। এ ছাড়া, ভিআইপি রোড-বিমানবন্দর হয়ে নিবেদিতা সেতু দিয়ে যেতে হবে শহরের মধ্যে চলাচলকারী পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে। তবে ছোট গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতু-ড্রেনেজ ক্যানাল রোড-হাওড়া আমতা রোড হয়ে সলপ মোড় দিয়ে সারা দিন যাতায়াত করবে। কলকাতামুখী পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে ধূলাগড়-আলমপুর-নিবড়া-সিসিআর সেতু-নিবেদিতা সেতু হয়ে টালা সেতু দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে হবে।
পণ্যবাহী গাড়ি সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে যেতে পারবে না বলে বিকল্প বিভিন্ন রাস্তার ব্যবস্থা করলেও কলকাতা পুলিশ এলাকায় যানজটের আশঙ্কা করছেন পুলিশকর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানিয়েছেন, সমীক্ষা চালিয়ে জানা যায়, দৈনিক গড়ে ৭০ হাজার যানবাহন ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। পণ্যবাহী গাড়ি চলে দিনে ১২-১৫ হাজার। ওই সব গাড়ি মূলত কলকাতা থেকে বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে বেরিয়ে সাঁতরাগাছি সেতুতে যায়। সেগুলি আন্দুল রোড বা নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দিলে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় রাতে যানজট হতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। তবে যানজট ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, কোন পণ্যবাহী গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতু ধরবে, আর কোনটি টালা সেতু দিয়ে যাতায়াত করবে, তা আগে থেকেই চূড়ান্ত করা হবে। এর জন্য পরিবহণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।