Rice Research Centre

Chinsurah: চুঁচুড়ায় ধান গবেষণা কেন্দ্রে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, পর পর চুরি ঘটনায় চাঞ্চল্য

 অভিযোগ, সেই সময় বহিরাগতরা গবেষণা কেন্দ্রে ঢুকে মদের আসর জমায়। জমির আলের পাশে যত্রতত্র মদের ভাঙা বোতল পড়ে থাকে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২১ ১৮:৩৭
Share:

ধান গবেষণা কেন্দ্রে পড়ে থাকা যন্ত্রপাতি। নিজস্ব চিত্র।

বেশ কিছু দিন ধরেই চুঁচুড়া ধান গবেষণা কেন্দ্রে চুরির অভিযোগ উঠছে। রাতের অন্ধকারে গোডাউনের তালা ভেঙে সাবমার্সিবল পাম্প, ট্র্যাক্টরের ফলা, ধান ঝাড়ার যন্ত্র থেকে শুরু করে বহু কৃষি যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যাচ্ছে প্রতি দিন। মঙ্গলবার রাতেও একটি গোডাউনের তালা ভেঙে কৃষি যন্ত্র চুরি হয়ে গিয়েছে বলে ধান গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানানো হয়েছে। দিনের বেলায় কৃষি খামারে শ্রমিকরা কাজ করেন। অভিযোগ, সেই সময় বহিরাগতরা গবেষণা কেন্দ্রে ঢুকে মদের আসর জমায়। জমির আলের পাশে যত্রতত্র মদের ভাঙা বোতল পড়ে থাকে।

Advertisement

পূর্ব ভারতের একমাত্র ধান গবেষণা কেন্দ্রের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে প্রচুর ফাঁকা জমি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কৃষি ভবন, উদ্যানপালন দফতর, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং কিছু পরিত্যক্ত কোয়ার্টার আর খামার। এত বড় এলাকা দেখাশোনা করার জন্য কোনও নিরাপত্তারক্ষীও নেই। স্বাভাবিক ভাবেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দিনের বেলায় ছিনতাই এর ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

গত কয়েক দিনে পর পর চুরির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছেন গবেষণা কেন্দ্রের আধিকারিকরা। ধান গবেষণা কেন্দ্রের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা পার্থ রায় চৌধুরী জানান,গবেষণা কেন্দ্রের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতৃী। গবেষণা কেন্দ্রের ক্ষতি হলে গোটা রাজ্যে কৃষি গবেষণার শুধু ক্ষতি হবে না দেশের ক্ষেত্রেও বিরাট ক্ষতি। বাংলা, বিহার ওড়িশা এবং মধ্যপ্রদেশে এই গবেষণা কেন্দ্রের ধান চাষ হয়। সরকারি জায়গা কিন্তু অরক্ষিত অবস্থায় থাকায় কাউকে আটকানো যায় না বলে দাবি কৃষি অধিকর্তার।

Advertisement

তিনি জানান, এর আগেও এক বার পুলিশ ক্যাম্প করা নিয়ে কথা হয়েছিল। তখন সেটা হয়নি। এ বার পুলিশে অভিযোগ করার পাশাপাশি কমিশনারকে চিঠি দিয়ে পুলিশ ক্যাম্প করার জন্য বলা হয়েছে। শীঘ্রই এই নিয়ে একটি বৈঠক হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement