মানুষের কোনও সমস্যা হলে তাঁদের পাশে দাঁড়াতেন আনিস। ফাইল চিত্র।
নানা দাবিতে ছাত্র আন্দোলন তো ছিলই, পাশাপাশি সমাজসেবাও ছিল নিহত আনিস খানের নেশা। রবিবার দিনভর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সে সব কথাই বলছিলেন গ্রামবাসীরা। নিজের গ্রাম আমতার সারদাতে তো বটেই, হাওড়া জেলা জুড়ে বিস্তৃত ছিল তাঁর কর্মকাণ্ড। আনিস ছিলেন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চের সক্রিয় সদস্য। মূলত রক্তদান শিবিরের আয়োজন এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা কাজে তিনি যুক্ত ছিলেন। জেলার নানা প্রান্তে মানুষের সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদসভা এবং পদযাত্রায় তিনি যোগ দিতেন। এ ছাড়াও মানুষের কোনও সমস্যা হলে তাঁদের পাশে দাঁড়াতেন বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
জনস্বাস্থ্য ও অধিকার রক্ষা মঞ্চের সম্পাদক অভীক নাগ বলেন, ‘‘আনিসের মৃত্যুতে আমাদের বেশ ক্ষতি হল।’’ মঞ্চের উদ্যোগেই গত বছর ২২ মে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু শাসক দলের নেতাদের কোপে পড়ে তা ভণ্ডুল হয়ে যায় বলে মঞ্চের তরফে অভিযোগ করা হয়। পুলিশের কাছে চিঠি লিখেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন আনিস। সেই চিঠি ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়। যদিও তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
আনিসের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে। তাঁর বাড়িতে শনিবার সকাল থেকেই ভিড় করছেন গ্রামবাসীরা। আনিসের মানুষের পাশে থাকার কথা বলাবলি করছিলেন সবাই। কী বলছেন তাঁর পরিবারের লোকজন? আনিসের কলেজে পড়ুয়া ভাগ্নি মুসকান খাতুন বলেন, ‘‘আমার মামা সবসময় মানুষের পাশে থাকতেন। সেটা সবাই জানেন। এটা এই গ্রামে নতুন কথা নয়।’’ আনিসের বাবা সালেমের কথায়, ‘‘মানুষের পাশে থাকার জন্য ছেলেকে অনেক হুমকির মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু ও দমেনি।’’