—প্রতীকী চিত্র।
প্রান্তিক স্টেশন হিসাবে হাওড়ার উপরে চাপ কমাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছি এবং শালিমার স্টেশন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় বছর ছয়েক আগে। তার পরে দূরপাল্লার একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন এবং শহরতলির কিছু লোকাল ট্রেনকে যথাক্রমে শালিমার ও সাঁতরাগাছিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও ওই দুই স্টেশনকে আধুনিক চেহারায় গড়ে তোলার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, সাঁতরাগাছি স্টেশনটি হবে পাঁচতলা। একটি র্যাম্পের মাধ্যমে সেটি যুক্ত হবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে। একই ভাবে, কলকাতার অন্যতম বিকল্প প্রান্তিক স্টেশন হিসাবে শালিমারকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকলেও সেই কাজও সে ভাবে এগোয়নি। ওই দুই স্টেশনে পৌঁছনোর অসুবিধা ছাড়াও লাইন পারাপার, ট্রেনের জন্য অপেক্ষা-সহ নানা ক্ষেত্রে প্রতিকূলতায় পড়তে হয় যাত্রীদের।
চলতি বছরে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ২২টি স্টেশনের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব রেল এ বছরে ১৭৯১ কোটি টাকা পেয়েছে। কেন্দ্রের বরাদ্দ মেলায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সাঁতরাগাছি এবং শালিমার স্টেশনের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল মিশ্র। তিনি জানান, সাঁতরাগাছি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা ছয় থেকে বাড়িয়ে আট করা হবে। শালিমার স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা হবে।
রেলের পরিকল্পনা, শালিমার স্টেশনে তৈরি হবে আন্ডারপাস। বসবে লিফ্ট এবং ওয়াকালেটর। ভবিষ্যতে শালিমার স্টেশন থেকে বন্দে ভারত চালাতে চায় দক্ষিণ-পূর্ব রেল। সে জন্য ওই স্টেশনে পৃথক ভাবে বন্দে ভারত রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
রাজ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীন খড়্গপুর, মেচেদা, তমলুক, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, জয়চণ্ডী পাহাড়-সহ একাধিক স্টেশনের উন্নয়ন করা হবে ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায়। ওই সব স্টেশনের প্রবেশপথ, বাইরের সজ্জা, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, শৌচাগার, ফুট ওভারব্রিজ, পার্কিং লট-সহ একাধিক পরিকাঠামোর সংস্কার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।