Lord Krishna

Gar madaran Village: গড়মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্র সাজানোর কাজে গতি এল

জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার মহাজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, “মোট ১০টি কাজের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি কাজগুলিও প্রায় শেষের মুখে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২ ০৮:২৫
Share:

এ ভাবেই সেজে উঠছে গড়মান্দারণ। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

জমি-জট পুরোপুরি কাটেনি। তা সত্ত্বেও শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান গোঘাটের কামারপুকুর থেকে ৩ কিলোমিটার তফাতে ‘গড়মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্র’ সাজানোর কাজে গতি বাড়াল জেলা পরিষদ।

Advertisement

লক্ষ্মীজলার উপর কাঠের সেতুর কাজ এবং পর্যটকদের জন্য ছাউনি নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। কাজ চলছে একটি কটেজ, দু’নম্বর ফটক থেকে বড় আস্তানা যাওয়ার রাস্তা, বিভিন্ন জায়গায় হাইমাস্ট আলো, পর্যটন কেন্দ্র জুড়ে গান-বাজনার ব্যবস্থা ব্যবস্থা (সাউন্ড স্ক্যাপিং), মূল ফটক, টিকিট কাউন্টার এবং অফিসঘর সংস্কারের। পর্যটন কেন্দ্রটির উন্নয়নের মূল অন্তরায় ছিল চত্বরের ভিতরে থাকা ব্যক্তিগত মালিকানার কিছু জমি। সেই কারণে ওই কাজ কিছুটা গতি হারিয়েছিল। জমিগুলিকে বাইরে রেখেই প্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে।

জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার মহাজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, “মোট ১০টি কাজের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি কাজগুলিও প্রায় শেষের মুখে। বছর দুয়েকের মধ্যে দফায় দফায় গড়মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্রকে যথাযথ ভাবে সাজিয়ে তোলা হবে।”

Advertisement

জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রায় ২০০ একরের গড়মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্র সাজানোর দাবি স্থানীয় মানুষদের দীর্ঘদিনের। বাম আমলে পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে থাকা আমোদর নদ, কাজলা দিঘি, লক্ষ্মীজলা এবং লস্কর জলা সংস্কার করে মাছ চাষ, নৌকা-বিহারের ব্যবস্থা হয়েছিল। ছিল ময়ূর উদ্যান এবং ডিয়ার পার্কও। ধীরে ধীরে সে সব নষ্ট হয়ে যায়। বাম আমলের পর কিছু গাছ লাগানো হলেও উল্লেখযোগ্য কাজ হয়নি বলেও অভিযোগ ছিল।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের অগস্ট মাস নাগাদ ওই পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন হয়। তাতে জেলা প্রশাসন এবং জেলা পরিষদের কর্তারা ছাড়াও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক, পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকদের রাখা হয়। গত বছরের শেষ দিকে কাজ শুরু হয়। প্রথম দফায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই পর্যটন কেন্দ্রে ‘জীববৈচিত্র পার্ক’ গড়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement