থানায় অভিযোগ জানিয়ে বেরোচ্ছেন জোহরা। — নিজস্ব চিত্র।
সাতসকালে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বাড়ি থেকে বাগনানে মেয়ের বাড়ি রওনা দিয়েছিলেন। গলায় পরা ছিল সোনার গয়না, হাতের থলেতে ছিল কিছু নগদও। মাঝরাস্তায় আলাপ করার অছিলায় প্রৌঢ়ার গলা থেকে টান মেরে সোনার গয়না এবং নগদ ভরা ব্যাগ নিয়ে উধাও দুই দুষ্কৃতী। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও উদ্ধার হয়নি ছিনতাই হওয়া গয়না এবং টাকা। এই ঘটনায় জগৎবল্লভপুরে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জগৎবল্লভপুরের চংগুরালি শেখপাড়ার বাসিন্দা বছর ৬৫-এর জোহরা বেগম। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ তিনি বাগনানে মেয়ের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। জোহরার অভিযোগ, মাজুর কাছে দুই ব্যক্তি তাঁর পিছু নেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই দু’জন প্রৌঢ়ার কাছে এসে তাঁর সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রৌঢ়ার সন্দেহ হওয়ায় তিনি ওই ফাঁদে পা দেননি। এর পর ওই দুই ব্যক্তি বাইকে ‘দিদা’কে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে জোহরা জবাব দেন, এই রাস্তাটুকু তিনি হেঁটেই চলে যেতে পারবেন। তবুও প্রৌঢ়ার পিছু ছাড়েন না দুই ব্যক্তি। আচমকাই তাঁরা প্রৌঢ়ার গলা থেকে হার ছিনিয়ে নেন, কেড়ে নেন হাতে থাকা টাকার ব্যাগটিও। প্রৌঢ়া চিৎকার করে উঠতেই বাইক নিয়ে চম্পট। প্রৌঢ়ার দাবি, গয়না এবং নগদ মিলিয়ে ৮০ হাজার টাকার জিনিস ছিনতাই হয়েছে তাঁর। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সাতসকালে এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাজ্জব স্থানীয় বাসিন্দারাও। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু হলেও এখনও নগদ বা গয়না— কিছুই উদ্ধার হয়নি। আটক বা গ্রেফতারও নেই। বার বার এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশ।