বাপ্পা কর নিজস্ব চিত্র
ভরা বাজারে মুচলেখা পড়ে দোকান খোলার অনুমতি পেলেন এক বিজেপি কর্মী। ধনিয়াখালির বেলমুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফিডাররোড এলাকার ঘটনা। নির্বাচনের আগে বাপ্পা কর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যান। ভোটের ফল ঘোষণা হতেই অজানা কারণে তাঁর মোবাইলের দোকানটি বন্ধ থাকে। শুক্রবার বাপ্পা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে ভরা বাজারে মুচলেখা এবং পরে তৃণমূলে যোগদান করার আবেদন করেন। মুচলেকাতে বাপ্পা জানান, গত ৩ মে থেকে আমার মোবাইলের দোকানটি বন্ধ রয়েছে। দোকানটি খুলতে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি এবং আগামী দিনে তৃণমূলের হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে চাই। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়, এলাকার তৃণমূলকর্মীদের প্রতি যে অত্যাচার করা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা না চাইলে দলে নেওয়া সম্ভব নয়। পরে আবারও মাইক ঘোষণা করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন বাপ্পা।
বাপ্পা জানান, মূলত ভয় পেয়েই এক মাস দোকান বন্ধ করে রাখেন তিনি। দীর্ঘ দিন দোকান বন্ধ থাকায় সংসার অচল হয়ে পড়ে। তাই দোকান খুলতে তৃণমূলের কাছে আবেদন করেন। এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূলের বেলমুড়ি অঞ্চল সভাপতি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা জোর করে কারও দোকান বন্ধ বা কাউকে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করাইনি। বাপ্পা কর নিজে থেকেই দোকান বন্ধ করে রেখেছিলেন। তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। পুনরায় দলে ফেরার জন্য আবেদন করেন। ভুল স্বীকার করাতে আবারও দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’
এই বিষয়ে ধনিয়াখালি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী তুষার মজুমদার বলেন, ‘‘এটা সব জায়গায় হচ্ছে। আরও অনেক দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যারা তৃণমূল করবে তাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হবে, এটাই চলছে। ধনেখালিতে এখনও অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। ভয় দেখিয়ে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফিডাররোডের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন নয়।’’