মারধরের অভিযোগে এক ব্যবসায়ী-সহ ৭ জন গ্রেফতার হল। প্রতীকী ছবি।
মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় বাড়িওয়ালা এবং পড়শিদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগে এক ব্যবসায়ী-সহ ৭ জন গ্রেফতার হল। ঘটনাস্থল থেকে সরকারি বোর্ড লাগানো একটি গাড়িও পুলিশ উদ্ধার করেছে। শ্রীরামপুরের পিয়ারপুরের এই ঘটনায় ধৃতদের জেল হেফাজত হয়েছে।
অভিযুক্তদের অন্যতম, রিষড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুর-প্রতিনিধি সুখসাগর ওরফে টিঙ্কু মিশ্র অবশ্য অধরা। তিনি রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্রের ভাই। পুলিশ জানায়, ‘‘সুখসাগর পলাতক। খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পিয়ারাপুরের ছোটবেলু মাহেশ্বপাড়ায় রাধাকান্ত মণ্ডলের ঘর ব্যবসার কাজে ভাড়া নিয়েছিল রাজেশ উপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে মদের আসর বসলে রাধাকান্ত প্রতিবাদ করেন। বচসা হয়। রাধাকান্তের অভিযোগ, তখন রাজেশের ঘনিষ্ঠ সুখসাগর দলবল নিয়ে আসে। রাধাকান্ত এবং প্রতিবেশী মানিক দত্তকে তারা রাস্তায় ফেলে রড দিয়ে মারে। মানিকের মাথায় মারলে তিনি জ্ঞান হারান। বাঁচাতে এলে অন্য পড়শিরাও ছাড় পাননি। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ এসে আহতদের হাসপাতালে পাঠায়। শুক্রবার অভিযুক্তদের ধরা হয়।
রাধাকান্তের অভিযোগ, রাজেশ প্রায়ই মদের আসর বসাত। আগেও নিষেধ করেছিলেন। কাজ হয়নি। এলাকাবাসীও রাজেশের উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন। সুখসাগর বা বিজয়সাগর ফোন ধরেননি। মোবাইল-বার্তার জবাবও দেননি। তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘জেনেছি, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়ে গোলমাল। রাজনীতি বা তৃণমূলেরও কোনও যোগ নেই।’’