গরু এবং ধান চুরির অভিযোগে দাদাকে মারধর করেন গ্রামবাসীরা। রাগে তাঁদের মারধর করলেন উপপ্রধান! — প্রতীকী চিত্র।
গরু এবং ধান চুরির অভিযোগে তৃণমূল উপপ্রধানের দাদাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করেছিলেন গ্রামবাসীরা। প্রতিশোধ নিতে ৪ গ্রামবাসীকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। হুগলির ধনিয়াখালির গোপীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিন ধরে গোয়াল থেকে গরু, গোলা থেকে ধান চুরি হচ্ছিল গোপীনাথপুরে। গ্রামবাসীরা চোর ধরতে চাঁদা তুলে সিসিটিভি বসিয়েছিলেন। তাতে দেখা যায় মুর্শিদাবাদ থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে আসা এক জন রাতে ইতস্তত ভাবে ঘোরাঘুরি করছেন। তাঁকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিনি নাকি জানান স্থানীয় উপপ্রধান ইয়াসিন মল্লিকের দাদা হামজা মল্লিক তাঁকে পাঠিয়েছেন। এর পর ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা হবিবপুরে ২ জনকে ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁকে জুতোর মালাও পরানো হয়। এই ঘটনার মীমাংসা করতে উভয় পক্ষকে ডাকেন স্থানীয় বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায়। সেখানে যাওয়ার পথে নিশ্চিন্তপুরে গ্রামবাসীদের উপর উপপ্রধান এবং তাঁর লোকজন চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁদের রড এবং বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন চার জন। তাঁদের ধনিয়াখালি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক রমেন্দু বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে গ্রামে গরু চুরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। সেটা নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়। পুলিশকে বলেছিলাম বিষয়টা দেখতে। দু’পক্ষই মীমাংসার আবেদন করেছিল। রবিবার দু’পক্ষকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউই আসেননি।’’ উপপ্রধানের বিরুদ্ধে মারধরের ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, ‘‘একটা ঘটনা হয়েছে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’
এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রেফতার করে ধনিয়াখালি থানার পুলিশ।