জল-যন্ত্রণা: লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায় এখনও রাসায়নিক মিশ্রিত জমা জল ডিঙিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েক বছর ধরে নিকাশির সংস্কার হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকায় তিন থেকে চার ইঞ্চি জল জমে যায়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভাঙাচোরা রাস্তা। চলতি বর্ষায় দুর্বিষহ দশা হাওড়ার লিলুয়া উড়ালপুল সংলগ্ন ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের পটুয়াপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার। এরই প্রতিবাদে রবিবার সকালে পটুয়াপাড়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। লিলুয়া থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ। শেষে প্রশাসনিক আশ্বাসে প্রায় দু’ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ওই এলাকায় জমে রয়েছে পাঁকজল। তাতে মিশছে এলাকার কয়েকটি কারখানার রাসায়নিক। যা নিয়মিত মাড়িয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকেই চর্মরোগে ভুগছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই এলাকায় জল জমা গত চার বছর ধরেই চলছে। বাসিন্দারা বার বার জানালেও পুরসভা কানে তোলেনি বলে দাবি। স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পা বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভাঙা রাস্তা মেরামত কিংবা নিকাশির সংস্কার হয়নি। সারা বছরই নর্দমার জল আর কারখানার রাসায়নিক মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। সমস্যা বেড়েছে রাস্তায় বেআইনি ভাবে লরি দাঁড় করিয়ে রাখায়।’’
আর এক বাসিন্দা অমিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জমা জলে রাসায়নিক মিশে রং কখনও বেগুনি, কখনও হলুদ হয়ে যাচ্ছে। পায়ে ওই জল লাগলে জ্বালা করছে।’’ এমনকি, জমা জলে নর্দমা আর রাস্তা বুঝতে না পেরে বাইরে থেকে আসা লোকজন পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দিনের পর দিন এই নিয়ে পুরসভাকে অভিযোগ জানিয়ে ফল না হওয়ায় এ দিন বাসিন্দারা সকাল ৯টা থেকে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা না মিটলে লিলুয়া উড়ালপুল অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।
হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অরূপ রায়ের বক্তব্য, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। পুরসভায় লিখিত অভিযোগ জানালে সমাধানের ব্যবস্থা হবে।”