ফাইল চিত্র।
নতুন বছরের গোড়া থেকেই নিকাশির সংস্কার শুরু করতে চলেছে হাওড়া পুরসভা। মঙ্গলবার হাওড়া পুরভবনে রেল, সেচ এবং হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের (এইচআইটি) সঙ্গে বৈঠকে বসে সেই পরিকল্পনাই ছকে রাখলেন পুরকর্তারা। গত বর্ষায় নিকাশির বেহাল দশা দেখেই এই তৎপরতা বলে জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকদের একটি অংশ। নতুন বছরের প্রথম থেকেই কাজ শুরু হবে বলে ঠিক হয়েছে। পুর কমিশনার ধবল জৈনের উপস্থিতিতে এ দিনের বৈঠকে ছিলেন তিন দফতরের কর্তারা।
চলতি বছরে বৃষ্টির জেরে প্রায় ছ’মাস জমা জলে জেরবার হয়েছেন হাওড়াবাসী। পরিস্থিতি সামলাতে নাকাল হতে হয় পুর প্রশাসকমণ্ডলীকে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন পলি না তোলায় নর্দমাগুলি নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ডুবে যাচ্ছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেল তাদের জমিতে থাকা জলাশয় ও নালাগুলি পরিষ্কারের কাজ করবে। রানিঝিল ও বেলিলিয়াস পার্কের উল্টো দিকে থাকা কালভার্টটি আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। এই দু’টি জায়গা পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রেল পরিষ্কার করবে। এ ছাড়া, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিয়াপাড়া স্টেশন সংলগ্ন শশিভূষণ মুখার্জি লেনে রেলের নিচু জমি বর্ষায় উপচে এলাকা ভাসায়। সেই জমিটিও পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।
বেলিলিয়াস রোড থেকে বেলেপোল পর্যন্ত বড় নিকাশি নালার (ড্রেনেজ ক্যানাল) আবর্জনা ও পাঁক পরিষ্কার করাবে এইচআইটি। তখন ওই নিকাশি নালার উপরে জবরদখল করে গজিয়ে ওঠা পার্কিং লট, ক্লাবের তৈরি পার্কও ভেঙে ফেলা হবে। এ ছাড়া, শহরের অন্যতম নিকাশি পচাখাল পরিষ্কার করবে সেচ দফতর।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেল, এইচআইটি ও সেচ দফতরের সঙ্গে সমম্বয় রেখেই জলাশয়, নালা ও খাল সংস্কার হবে। জানুয়ারিতে কাজ শুরু হয়ে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।’’