চিংড়া বোরো বাঁধ কাটা দেখতে ভিড়। মঙ্গলবার খানাকুলে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
আরামবাগ মহকুমায় নদনদীতে বোরো চাষের জন্য জল ধরে রাখার জেরে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। সেচ দফতরের সুপারিশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার খানাকুল-২ ব্লকে মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপরে চিংড়া, গণেশপুর, শশাপোতা এবং কামদেবচকের বোরো বাঁধ কেটে দেওয়া হল।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করতেই এই ব্যবস্থা বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। প্রকল্পের জেলা সেচ দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার যিশু দত্ত বলেন, “নদীতে জল থাকায় আমাদের বেশ কিছু জায়গায় বাঁধ ভাঙন সংস্কারের কাজ এবং নদীর পলি তোলার কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। বাঁধ কেটে দেওয়ায় এ বার কয়েক দিনের মধ্যেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে।” দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলির জন্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কাজগুলি সবই খানাকুল ১ ও ২, আরামবাগ এবং পুরশুড়া ব্লক এলাকায় হবে বলে তিনি জানান।
জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার প্রকল্পের আওতায় আছে মুণ্ডেশ্বরী নদীর বাকি ১১.১৮ কিলোমিটার, মুণ্ডেশ্বরী নদীর শাখা ‘কাটা খালে’র ৬.৭৫ কিলোমিটার, হুড়হুড়া খালের ৮.০৩৪ কিলোমিটার এবং আপার রামপুর খালের প্রায় ১০ কিলোমিটারে পলি উত্তোলন। এ ছাড়াও, আরামবাগ, পুরশুড়া এবং খানাকুলের দু’টি ব্লক এলাকার মধ্যে দিয়ে যাওয়া মুণ্ডেশ্বরী নদীর দু’তীরে ক্ষতিগ্রস্ত পাড়গুলি বোল্ডার দিয়ে মজুবত করা হবে।