Fire

Tarakeswar: মধ্যরাতে দাউদাউ করে জ্বলছে বাড়ি, আগুন লাগিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা!

প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভাঙতেই দরজা খুলে দম্পতি বেরিয়ে এসে দেখেন, চারিদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে পাক খাচ্ছে। দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে বাড়ি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২২ ২০:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

মধ্যরাত তখন। শুয়ে পড়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিছু ক্ষণ পরেই হঠাৎ বাইরে দুমদাম শব্দ। প্রচণ্ড গরমও লাগছিল তাঁদের। ঘুম ভাঙতেই দরজা খুলে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন, চার দিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে বাড়িতে...

সদ্য ঘটে যাওয়া রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে আলোড়নের আবহে একই রকম ঘটনার সাক্ষী হুগলির তারকেশ্বরের বালিগরী এলাকা। সম্পতি নিয়ে বিবাদের জেরে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে খুন করার চেষ্টা হয়েছে বলে আত্মীয়দের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুললেন এক দম্পতি।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে। দাদার বউ তাজিনা বেগম ও তাঁর ছেলে আজিজ খানের বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তুলেছেন হাকিম খান ও কোহিনুর বেগম নামে ওই দম্পতি। রাতের ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কোহিনুর বলেন, ‘‘১২টা পর্যন্ত জেগেই ছিলাম আমরা। তার পর শুয়েছি। বাইরের তীব্র শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি, সব জ্বলছে! চিৎকার চেঁচামেচি করে আশপাশের লোকজনকে ডাকি আমরা। সবাই এলে আমরাই পুকুর থেকে জল এনে আগুন নেভাই।’’

Advertisement

জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদের জেরেই তাঁদের উপর হামলা করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন হাকিম। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বৌদি আর ভাইপোই এই কাজ করেছে। আগেও ওঁরা লোক ডেকে পাঁচিল ভেঙে দিয়েছে। আমরা শুধু শান্তিতে থাকতে চাই। টোটো চালিয়ে ভাত জুটাই। আমাদের নিরাপত্তা চাই।’’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন হাকিম। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, পুলিশ আসতে চায়নি। তবে হাকিম জানান, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলেই তাঁর মনে হয়।

যদিও হাকিম আর কোহিনুরের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাজিনা ও আজিজ। আজিজ বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ বাজে কথা। আমরা সাড়ে ১০টা নাগাদ শুয়ে পড়েছি। সকালে উঠে জানতে পেরেছি, ওঁদের বাড়িতে আগুন লেগেছে। উনি (হাকিম) আমার নিজের কাকা হন। আমরা কেন এ সব করব? পুরো মিথ্যে বলছে।’’ তাজিনও বলেন, ‘‘এ সব বললে কী করে বাঁচব বলুন তো? আমরা তো কিছুই জানি না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement