বাবা এখনও ছেলেমেয়েদের পড়ান। ছেলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীলের গ্রেফতারি ইস্তক একের পর এক তথ্য বেরিয়ে আসছে। বেআইনি নিয়োগ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা ছাড়াও অয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ফ্ল্যাটমালিক বলছেন, ও ছেলে চিটিংবাজ। প্রতিবেশীদের আবার আঙুল প্রৌঢ় অয়নের বান্ধবীর পোশাকের ঝুল নিয়ে। এ সব নিয়ে বৃদ্ধ বয়সে ঝামেলায় পড়েছেন অয়নের বাবা সদানন্দ শীল। ৮৪ বছরের বৃদ্ধ এখনও ছেলেমেয়েদের পড়ান। রাস্তায় এত দিন একা একাই চলাফেরা করছেন। কিন্তু এখন যে কেউ দেখলেই তাঁকে ছেঁকে ধরছেন। কেউ দূর থেকেই ছুড়ে দিচ্ছেন কটু মন্তব্য। এই সব কিছু নিয়ে বড্ড ঘেঁটে রয়েছেন তিনি, জানালেন অশীতিপর।
মাথার চুল হালকা হয়ে এসেছে। পরনে সস্তার পোশাক। লাঠি ঠকঠকিয়ে বাড়ির দিকে এগোচ্ছিলেন বৃদ্ধ। ছেলের প্রশ্ন করতেই ভ্রু কুঁচকে গেল তাঁর। এই বয়সে এসেও টিউশনি করেন। ছেলেকে নিয়ে কী বলবেন? প্রশ্ন শুনে বৃদ্ধের জবাব,‘‘সব কিছু তো ফর্মুলা মেনে হয় না। অনেক ঘটনাই তো এমন ঘটে।’’ তার পরেই বলেন, ‘আমি আপসেট।’
অয়নকে শনিবার রাতে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে ইডির আধিকারিকরা নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অয়নের বাবা সদানন্দ এবং মা অমিতা দেবী বাইরে আর বিশেষ বেরোচ্ছেন না। মঙ্গলবার বিকেলে জগুদাসপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বৃদ্ধ। কিন্তু সবার এত প্রশ্ন! পা চালিয়ে তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে যান বৃদ্ধ।