Schools

এগারো মাস পর বন্ধুদের দেখে বাঁধ ভাঙল উচ্ছ্বাস

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:২৩
Share:

:শুক্রবার স্কুল খোলার পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতেই উলুবেড়িয়া হাইস্কুলের পড়ুয়াদের উচ্ছ্বাস।

Advertisement

করোনা বিধি মেনে শুক্রবার থেকে হাওড়া জেলার হাইস্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুরু হয়ে গেল পঠন-পাঠন। যদিও এ দিন বাম ও কংগ্রেস বনধ ডেকেছিল। তবুও স্কুলে পড়ুয়াদের হাজিরা ছিল ভালই। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, যেহেতু স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীরাই স্কুলগুলিতে পড়ে তাই তারা স্থানীয় যানবাহন এবং সাইকেল নিয়ে স্কুলে এসেছিল। শিক্ষকেরাও স্কুলে হাজির ছিলেন।

স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়। তারা যেন মাস্ক পরে স্কুলে আসে সেটাও আগের দিন ফোন করে বলে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই মাস্ক পরে এসেছিল। এরপরেও যারা মাস্ক না পরেই চলে এসেছিল তাদের আসেনি তাদের স্কুল‌ের তরফ থেকে মাস্ক দেওয়া হয়। বেঞ্চে বসানোর ব্যাপারেও দূরত্ববিধি অনুসরণ
করা হয়।

Advertisement

গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের এক-একটি বেঞ্চে তিনজন করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শঙ্কর খাঁড়া বলেন, ‘‘স্কুল খোলার আগের দিনই আমরা বেঞ্চগুলিকেও জীবাণুমুক্ত করি।’’ বসার ক্ষেত্রে করোনা বিধি অনুসরণ করেছে অন্য স্কুলগুলি। শ্যামপুরের শসাটি নহলা অবিনাশ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অবিনাশ দেঁড়িয়া বলেন, ‘‘আমরা এমন ব্যবস্থা করেছিলাম যাতে শ্রেণিকক্ষে ৫০ জনের বেশি পড়ুয়া বসতে না পারে। সেজন্য অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ রাখা হয়েছিল।’’ স্কুলের গেটেই শিক্ষক ও পড়ুয়াদের করোনা বিধি মানার ক্ষেত্রে কী কী করণীয় তা বোর্ডে লিখে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে রাজেশবাবু জানান। কম বেশি এইরকমের ব্যবস্থা দেখা গিয়েছে প্রায় সব স্কুলে।

তবে একেবারে শেষ মূহূর্তে থার্মাল গান ব্যবহার করার কথা বলে স্কুল শিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবার রাতে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পৌঁছায় স্কুলগুলিতে। এতে বিপাকে পড়েন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিছু স্কুল থার্মাল গানের ব্যবস্থা করলেও বেশিরভাগ স্কুলে তা আনা হয়নি। গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমরা নির্দেশিকা পেয়েই থার্মাল গান কিনে আনি।’’ অন্য দিকে শসাটি নহলা অবিনাশ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘একেবারে শেষ মুহূর্তে এই নির্দেশিকা এসেছে। তবে আমরা এই যন্ত্রের বরাত দিয়েছি। শীঘ্র এসে যাবে।’’ তবে কোনও স্কুলেই অভিভাবকদের স্কুলে ঢুকতে
দেওয়া হয়নি।

এ দিন পড়ুয়াদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। যেন প্রথম দিন স্কুলে এসেছে এইরকম মনোভাব দেখা যায় তাদের মধ্যে। উলুবেড়িয়ার বাণীবন যদুরবেড়িয়া বিদ্যাপীঠে আবার বসেছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির শিবির। এর জন্য অবশ্য পঠন-পাঠন ব্যহত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক শ্রীমন্ত কাঁড়ার। তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য দু’টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। বাকি শ্রেণিকক্ষগুলিতে পঠন-পাঠন হয়েছে।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর এক পদস্থ কর্তা জানান, জেলার প্রায় সাড়ে ছয়শো স্কুল ও হাই-মাদ্রাসায় এ দিন নিয়ম মেনে পঠ‌ন-পাঠন হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement