এই জায়গাতেই উদ্ধার হয়েছিল ১৭টি মৃত মানবভ্রূণ।
তদন্ত চলছেই। কিন্তু উলুবেড়িয়া পুরসভার ভাগাড়ে ১৭টি মৃত মানবভ্রূণ কোথা থেকে এল, সেই উত্তর জানা গেল না বৃহস্পতিবারেও।
তবে, ভ্রূণগুলির ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তাঁরা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘ভ্রূণগুলি ৮ থেকে ২৪ সপ্তাহ বয়সের। সেগুলি মৃত অবস্থাতেই গর্ভে ছিল। সেগুলির সঙ্গে গর্ভপাতের কোনও সম্পর্ক নেই বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কারণ, গর্ভপাত হলে ভ্রূণে কাটাছেঁড়ার লক্ষণ মেলে। এই ভ্রুণগুলি অবিকৃত ছিল। জারে ফর্মালিন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। হয়তো কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে এটা করেছিল।’’
উলুবেড়িয়ার বাণীতবলায় ওই ভাগাড় থেকে প্রতিদিন সকালে ময়লা ঘেঁটে জিনিস তুলে বিক্রি করে সংলগ্ন বস্তির কিছু কিশোর। গত মঙ্গলবার সকালে সেখানেই প্লাস্টিকের জারে মৃত ভ্রূণগুলি প্রথম দেখে কিশোররা চিৎকার করলে সাড়া পড়ে এলাকায়। তদন্তে পুরসভার পক্ষ থেকে চার সদস্যের কমিটি গড়া হয়। বুধবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও একটি কমিটি গড়েন। দুই কমিটির সদস্যেরা যৌথ ভাবে বুধবার চারটি নার্সিংহোম পরিদর্শন করেছিলেন। বৃহস্পতিবারও দিনভর পরিদর্শন চলে বিভিন্ন নার্সিংহোম-হাসপাতালে। এ দিন স্বাস্থ্যভবন থেকে প্রতিনিধিরা আসেন। তাঁরাও পরিদর্শনে যোগ দেন। ছিলেন নিতাইবাবুও।
নিতাইবাবু বলেন, ‘‘আমরা সব ক’টি হাসপাতাল-নার্সিংহোম পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি নার্সিংহোমে কিছু ঘাটতি আছে। কিন্তু ভ্রূণগুলি ফেলার সঙ্গে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলির কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। এমনকি, বালিতে কৃত্রিম প্রজননের সঙ্গে যুক্ত একটি নার্সিংহোমও পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানেও কিছু মেলেনি।’’ তদন্ত করার জন্য হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করা হয়েছে বলেও নিতাইবাবু জানান।