পুলিশের হাতে আটক দুই প্রতারক। নিজস্ব চিত্র।
ফোন পে এবং পেটিএম ব্যবহার করে প্ৰতারণার অভিযোগে ২ যুবককে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন ব্যবসায়ীরা। হুগলির তারকেশ্বের বালিগরী এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ২ প্রতারকের নাম শেখ আলম এবং শেখ সাইফুল। ২ জনের বাড়ি হুগলির হরিপালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রতারণা চালাচ্ছিল অভিযুক্তরা। ২ জনকে ধরতে পারলেও এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই এলাকার ব্যবসায়ীরা নতুন জালিয়াতির ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছিলেন। হুগলির বিভিন্ন এলাকায় সাইবার ক্যাফে বা মোবাইল ব্যবসায়ীরাই ছিল প্রতারকদের শিকার। নগদ টাকা প্রয়োজন, এই অজুহাতে ব্যবসায়ীদের কাছে যেত প্রতারকরা। বলত, নগদ টাকা দিলে পেটিএম বা ফোন পে-র মাধ্যমে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, তার সঙ্গে কিছু টাকা অতিরিক্ত দেওয়া হবে। এই প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলত তারা। সেই ফাঁদে পড়ে অনেকে টাকাও দিতেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের বোঝানো হত, সার্ভারের সমস্যার কারণে টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে দেরি হচ্ছে। তার পর সেখান থেকে চম্পট দিত তারা। এ ভাবে ধনিয়াখালি, ভান্ডারহাটি, দশঘড়া এবং হরিপালের বহু ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা করছিল চক্রটি।
রবিবার তারকেশ্বরের বালিগরী এলাকার একটি দোকানে গিয়ে একই ভাবে প্রতারণার পর, অন্য একটি দোকানে গিয়ে প্রতারণা করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ২ প্রতারক। প্রথম ব্যবসায়ীকে টাকা লেনদেন করার যে স্ক্রিনশট দেওয়া হয়, দ্বিতীয় ব্যবসায়ীকেও সেই একই স্ক্রিনশট দেয় প্রতারকরা। ২ ব্যবসায়ীর দোকান পাশাপাশি হওয়ায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। এর পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ২ যুবককে আটকে রাখেন। এর পর তারকেশ্বর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই ২ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।