এর আগেও এক বার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এই চক্র। —প্রতীকী চিত্র।
চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ৫ যুবককে গ্রেফতার করল হুগলির মগরা থানার পুলিশ। নদিয়ার রানাঘাট থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ত্রিবেণীর বাসিন্দা জনৈক মনোজিৎ সাউ গত ১ ফেব্রুয়ারি মগরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের ঠকিয়েছেন কয়েক জন। এই মামলার তদন্তে নেমে নদিয়ার রানাঘাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম চন্দন রায়, সৌগত বৈরাগী, অর্ণব বিশ্বাস, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় দাস। তাঁদের কাছ থেকে মোট ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে তাঁদের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌমদীপ ভট্টাচার্য শনিবার মগড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই চাকরি প্রতারণা চক্রের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি জানান, এর আগেও এক বার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এই চক্র। ধৃতদের মধ্যে সুজয় কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রতারণার জন্য তিনি দামি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করতেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিতেন। সেই জালে পা দিলেই প্রতারণার শিকার হতে হত।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ফর্ম ফিল আপের জন্য অল্প টাকা নেওয়া হত। তার পর ‘রেজিস্ট্রেশন’ করতে হবে বলে আরও কয়েক হাজার টাকা নেওয়া হত। সে সব মিটলে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার নাম করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। মূলত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে এই প্রতারণা চক্র ফাঁদ পেতে বসেন পাঁচ মূর্তি। এ ভাবে আরও কয়েক জনকে প্রতারণা করা হয়েছে। তাঁদেরও তালিকা মিলেছে।
এ নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘এর তদন্তে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার সেল সাহায্য করেছে। গত এক মাসে সাইবার প্রতারণার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ।’’