সিঙ্গুর থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতদের। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে বৃহস্পতিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরায় অশান্তির অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফুরফুরায় তুমুল অশান্তির পর শুক্রবার স্বাভাবিক ছিল জনজীবন। তবে থমথমে গোটা এলাকা।
ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা,পুলিশের উপর হামলা, নিষিদ্ধ শব্দবাজি ব্যবহার করা-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন চাঁদকুমার দাস, শেখ হাসেম, শেখ নাসিরুদ্দিন, আলি হোসেন এবং শেখ জাহিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর তাঁদের রাখা হয়েছিল সিঙ্গুর থানায়। শুক্রবার তাঁদের হাজির করানো হয় শ্রীরামপুর আদালতে। ধৃতদের চার দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার ফুরফুরায় যান হুগলি জেলা সিপিএমের নেতারা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ফুরফুরায়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, বেলা ১২টার পর ফুরফুরা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও পঞ্চায়েত অফিসের তালা খোলেনি। তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় আইএসএফ এবং সিপিএম। উল্টো পক্ষের দাবি, গোটা বিষয়টিই আদালতের বিচারাধীন। এই সময়ে বোর্ড গঠন সম্ভব নয়। পরে পুলিশ গিয়ে তালা খোলে। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। জখম হন কয়েক জন পুলিশকর্মী। এই অশান্তির মধ্যেই বোর্ড গঠন করা হয় পঞ্চায়েতের। পুলিশি ঘেরাটোপে বোর্ড গঠনের পর শুক্রবার দিন ভর বন্ধ ছিল ফুরফুরা পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকার দোকানপাট, বাজার সমস্ত কিছু অবশ্য খোলা ছিল। স্বাভাবিক ছিল জনজীবন।