Poisonous Snakes Found

ক্লাস চলাকালীন স্কুলে মিলল ৩ বিষধর সাপ

ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের মধ্যে। এর আগে ওই বিদ্যালয়ে গোসাপের উপদ্রব ছিল। কিন্তু এ রকম বিষধর সাপ যে থাকতে পারে, ভাবেননি কেউ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৯:১২
Share:

জঙ্গল ঘেরা স্কুল থেকে উদ্ধার বিষাক্ত সাপ। নিজস্ব চিত্র

গরমের ছুটির পরে দিন পনেরো আগে স্কুল খুলেছে। পার্থেনিয়ামের জঙ্গলে ভরে গিয়েছে জ্যোতিষচন্দ্র ঘোষ বালিকা বিদ্যালয় চত্বর। তা পরিষ্কার করা হয়নি। ক্লাস চলাকালীন শনিবার স্কুলের শিক্ষিকাদের ঘর থেকে একটি কালাচ, শৌচাগারের কাছ থেকে একটি শাখামুটি, স্কুলের পিছন দিক থেকে একটি গোখরো এবং পার্থেনিয়ামের জঙ্গল থেকে একটি দাঁড়াশ সাপ মিলল।

Advertisement

ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের মধ্যে। এর আগে ওই বিদ্যালয়ে গোসাপের উপদ্রব ছিল। কিন্তু এ রকম বিষধর সাপ যে থাকতে পারে, ভাবেননি কেউ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তিতান মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘স্কুলের তহবিলের অবস্থা ভাল নয়। পুরসভা ও প্রশাসনের কাছে আগাছা পরিষ্কার করার আবেদন জানালেও সহযোগিতা পাইনি। ফলে, সাপ ও শেয়ালের উপদ্রব বাড়ছে।’’

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আগাছা পরিষ্কার বিষয়টি আমাদের দেখার কথা নয়। তবে, এ রকম হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’ হুগলি-চুঁচুড়ার পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারীর আশ্বাস, অতিরিক্ত শ্রমিক নামিয়ে নানা জায়গা পরিষ্কারের কাজ চলছে। দু'এক দিনের মধ্যে ওই স্কুলের আগাছা সাফ করার কাজও শুরু হবে।

Advertisement

এ দিন সাপগুলি উদ্ধার করেন ব্যান্ডেলের সর্প বিশারদ চন্দন ক্লেমেন্ট সিংহ। শিক্ষিকারা তাঁদের ঘরে কালাচ দেখে চন্দনকে খবর দেন। চন্দন বলেন, ‘‘স্কুলের পরিবেশ দেখে আরও সাপ থাকতে পারে বলে অনুমান করেছিলাম। সেই মতো খুঁজতে গিয়েই সবগুলিকে ধরি। অনুকূল পরিবেশে সাপগুলিকে ছেড়ে দেব। দাঁড়াশ ছাড়া তিনটিই বিষধর। এই সব সাপ স্কুলের পরিবেশে থাকা মারাত্মক।’’

গঙ্গাপাড়ে সরকার পোষিত এই বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। ছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ৫০। শিক্ষিকা রয়েছেন সাত জন। একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তিতান জানান, ছাত্রীদের মধ্যে একটি অংশ একটি আশ্রমের আবাসিক। তাদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হয় না। স্কুলের তহবিল কম থাকায় প্রতি মাসে লোক দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। গরমের ছুটির আগে একবার করা হয়েছিল। এ বারের ছুটি লম্বা হওয়ায় আবার আগাছায় ভরেছে স্কুল চত্বর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement