তৈরি হয়ে গিয়েছে হাওড়ার তারামণ্ডল। — নিজস্ব চিত্র।
এত দিন তারামণ্ডল বলতে কলকাতার ‘বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম’কে বুঝেছেন রাজ্যবাসী। এ বার দেশের প্রথম থ্রি-ডি তারামণ্ডলের কাজ সম্পূর্ণ হল হুগলি নদীর অন্য পারে। প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই তারামণ্ডলটি তৈরি করেছে হাওড়া পুরসভা। এ বছর দুর্গাপুজোর সময়েই এর উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা খোলা হয়নি। এ বার সব কাজ শেষ। ডিসেম্বর থেকেই থ্রি-ডি প্রযুক্তির সাহায্যে মহাকাশ দেখতে পাবেন দর্শকরা।
হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ বার শীতে হাওড়ার মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার এই থ্রি-ডি তারামণ্ডল। আগামী ২ ডিসেম্বর সাধারণের জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, আপাতত তিনটি ‘শো’ থাকবে। দুপুর ৩টে, বিকেল ৪টে এবং ৫টা। বড়দের জন্য টিকিটমূল্য ১২০ টাকা। ছোটদের জন্য টিকিটের দাম ৭০ টাকা। থ্রি-ডি অ্যানিমেশন তৈরি-সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে দেশি এবং বিদেশি সংস্থা যৌথ ভাবে কাজ করছে।
থ্রি-ডি-র সম্পূর্ণ নাম ‘থ্রি ডাইমেনশনাল’ বা ত্রিমাত্রিক। যে সব বস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা— তিনটি মাত্রা আছে, তাদের ত্রিমাত্রিক বস্তু বলা হয়। ইতিমধ্যে দর্শকদের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে থ্রি-ডি প্রযুক্তি। এ বার নক্ষত্রপুঞ্জ চিনতে ওই প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে হাওড়ার তারামণ্ডলে।