রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে তেলের বাজারে। আবার বাড়তে পারে পেট্রোপণ্যের দাম। শীঘ্রই এক লাফে প্রায় ১৫ টাকা দাম বাড়ার সম্ভাবনা পেট্রল ও ডিজেলের। ইন্ডিয়ান পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি এমনটাই।
বাড়তে থাকা জ্বালানির দামে কেন্দ্র অন্ত শুল্ক প্রত্যাহার করায় গত বছরের ৪ নভেম্বর পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমেছিল। পশ্চিমবঙ্গে পেট্রলের দাম হয় লিটার প্রতি ১০৪.৬৭ টাকা। আর ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৮৯.৭৯ টাকা। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আবার বাড়তে পারে পেট্রোপণ্যের দাম। ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ। অন্য দিকে, যুদ্ধের ফলে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তাই এই মুহূর্তে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল পিছু যা দাম, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গেলে দু’টি জ্বালানিরই দাম গড়ে ১৫ থেকে থেকে ৮ টাকা প্রতি লিটারে বাড়াতে হবে।
ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন তাদের ডিলারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। ইন্ডিয়ান পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেনের কথায়, ‘‘সারা বিশ্বে রাশিয়া তেল সরবরাহ করে থাকে। সেই জোগান বন্ধ হওয়ায় বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে।’’ অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের জন্য তেলের দাম বাড়েনি। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী, নির্বাচন চলাকালীন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো যায় না। সোমবার নির্বাচন শেষ। তাই সোমবার রাত থেকেই পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রসেনজিৎ।
তবে একলাফে দাম বাড়বে নাকি ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে সেটাই এখন দেখার। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘পেট্রল-ডিজেলের দাম যে অনেকটাই বাড়বে সে কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। আবার পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়লে তার প্রভাব পড়বে অনেক কিছুতেই। প্রথমত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে। প্রভাব পড়তে পারে গণপরিবহণের ক্ষেত্রেও।’’