নতুন কর্মসূচি ‘আমার গ্রাম, আমার বাগান’
100 days work

১০০ দিনের প্রকল্পে ১০০ কাজ

দরিদ্র মানুষের আয়ের পথ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সরকারি দফতরগুলির সঙ্গে মেলবন্ধনে ১০০টি প্রকল্প নিল।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২১ ০৬:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে শ্রমদিবস সৃষ্টির ক্ষেত্রে হুগলি জেলা প্রশাসনের নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৪ কোটি। যা রাজ্যের পাঠানো লক্ষ্যমাত্রার প্রায় তিন গুণ)। কিন্তু এ বছর ভোট-বিধিতে কাজ শুরু হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মাস দেড়েক পরে। তার উপর করোনা-বিধিতে এখনও কাজের গতি ফেরেনি। এই অবস্থায় শ্রমদিবসের ঘাটতি মেটানো এবং একইসঙ্গে দরিদ্র মানুষের আয়ের পথ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সরকারি দফতরগুলির সঙ্গে মেলবন্ধনে ১০০টি প্রকল্প নিল। একইসঙ্গে ‘আমার গ্রাম, আমার বাগান’ নামে বড় আকারের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চালু করা হচ্ছে।

Advertisement

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা ব্লক এবং পঞ্চায়েতগুলিতে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, “১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের স্বাভাবিক কাজগুলি ছাড়াও বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে মেলবন্ধনের প্রকল্পগুলি রূপায়ণে ১ লক্ষ ৩০ হাজার শ্রমদিবস সৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতগুলিতে সেই সব কাজ শুরু করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। ‘আমার গ্রাম, আমার বাগান প্রকল্প’-এ জেলার প্রতিটি পঞ্চায়েতে বিভিন্ন ফল, ওষধি-সহ ৮ লক্ষ গাছের চারা লাগিয়ে বাগান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘আমার গ্রাম, আমার বাগান’ প্রকল্পকে আপাতত হুগলির প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় ৫টি করে আম, পেয়ারা, নারকেল ইত্যাদি ফল এবং ওষধির বাগান হবে ব্যক্তি-মালিকানাধীন জমিতে। প্রকল্পটি যথাযথ রূপায়ণ এবং তদারকির জন্য ব্লক প্রশাসন থেকে প্রতিটি পঞ্চায়েতে একজন করে এক্সটেনশন অফিসার নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সব গাছের চারা বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নার্সারি থেকে কেনায় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তাদের না থাকলে অবশ্য অন্যত্র কেনা যেতে পারে।

Advertisement

অন্যদিকে, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতর, উদ্যানপালন দফতর, সেচ দফতর এবং প্রাণিসম্পদ দফতরের সঙ্গে ১০০ দিন প্রকল্পের মেলবন্ধনে যে ১০০টি প্রকল্প ধরা হয়েছে তার মধ্যে থাকছে মুরগি-ছাগল-শুয়োর পালন, খামার তৈরি, নদীবাঁধ সংস্কার, ফল, শাকসব্জি চাষ, মাশরুম চাষ ইত্যাদি।

জেলার সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্তার দাবি, কাজের প্রচুর ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। এ বারও ৪ কোটির উপর শ্রমিকের কাজ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement