Arambagh

আরামবাগে নিকাশি সমস্যা মেটাতে নয়া উদ্যোগ

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচ দফতরের সঙ্গে যৌথ প্রকল্পটিতে ইতিমধ্যে পুরসভার তরফে বেআইনি দখল চিহ্নিত করতে ভূমি দফতরের সহায়তা নিয়ে মাপজোক শুরু হয়েছে।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ১০:০২
Share:

অল্প বৃষ্টিতেই জল জমেছে। রবিবার আরামবাগের কালীপুরের একটি ফলের দোকানের সামনে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কয়েকটি ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা তৈরি হলেও আরামবাগ শহরে জল জমা রোধ করা যাচ্ছে না। বর্ষায় তো বটেই, ঘণ্টাখানেক টানা বৃষ্টি হলেই পুরসভার ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিই জলমগ্ন হয়। তাই এ বার শহরের নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরাতে মহকুমাশাসকের তদারকিতে সেচ দফতরের সঙ্গে পুরসভা যৌথ ভাবে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রকল্প হাতে নিল। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

কী হচ্ছে ওই প্রকল্পে?

মহকুমাশাসক (আরামবাগ) সুভাষিণী ই জানান, আরামবাগ শহরের নিকাশি সমস্যার সুরাহার একমাত্র পথ কানা দ্বারকেশ্বর খাল। মূল দ্বারকেশ্বর নদের সঙ্গে যুক্ত ওই খালে শহরের সব নিকাশি নালার জল গিয়ে পড়বে। কিন্তু খাল কোথাও বেআইনি দখলদারির জেরে সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে, কোথাও মজে গিয়েছে। সেই সব জায়গা চিহ্নিত করে বেআইনি দখল উচ্ছেদ করা হবে। পুরো খালই সংস্কার করবে সেচ দফতর। যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে প্রকল্পটি যথাযথ রুপায়ণে সেচ দফতরের বিশেষজ্ঞেরা জরিপের কাজ শুরু করেছেন।

Advertisement

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচ দফতরের সঙ্গে যৌথ প্রকল্পটিতে ইতিমধ্যে পুরসভার তরফে বেআইনি দখল চিহ্নিত করতে ভূমি দফতরের সহায়তা নিয়ে মাপজোক শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে সেচ দফতর এবং পুরসভার বিশেষজ্ঞরা শহরের ১৯টি ওয়ার্ড থেকে মসৃণ ভাবে জল নিকাশির জন্য কোথায় কী রকম ভূ-স্তর খতিয়ে দেখে সেই মতো মানচিত্র তৈরি করছেন। প্রকল্পটি রুপায়ণে ৩০-৩৫ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে মনে করছেন মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রট মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ।

‘মাস্টার প্ল্যান’ নিয়ে আশাবাদী পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারী বলেন, ‘‘অতীতে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠা শহরটিতে নিকাশি নিয়ে সারা বছরই দুর্ভোগ পোহতে হয় আমাদের। ২০১৪ সাল থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার ৪টি ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা করেও বিশেষ সুরাহা হয়নি। এ বার সেচ দফতরের কারিগরি সহায়তায় সুফল মিলবে বলেই আশা করছি।’’

মহকুমা সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, ‘‘নিকাশি ব্যবস্থাকে সামনে রেখে এই মাস্টার প্ল্যানে দূষণ নিয়ন্ত্রণ-সহ শহরের সার্বিক সৌন্দর্যায়নের বিষয়টিও রেখেছেন মহকুমাশাসক।’’

‘মাস্টার প্ল্যান’ নিয়ে শহরবাসীও আশার আলো দেখছেন। তাঁদের বক্তব্য, এত দিন কোনও বিশেষজ্ঞ ছাড়াই ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা করাতে সমস্যা থেকে গিয়েছে। উপযুক্ত নিকাশি নালা না থাকায় বৃষ্টির জমা জল বের হতে এক-দু’দিন সময় লাগে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement