নিষেধাজ্ঞার পরেও থার্মোকলের ব্যবহার যে হচ্ছে, সে বিষয়ে পরিবেশ আদালত সচেতন। প্রতীকী ছবি।
পাতিপুকুর মাছবাজার সংক্রান্ত একটি মামলায় থার্মোকলের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের জন্য গত মাসেই রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এ বার আদালতের নজরদারিতে উঠে এল হাওড়া মাছবাজারে থার্মোকল বন্ধের প্রসঙ্গও। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বাজার এলাকাতেও থার্মোকলের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাওড়া মাছবাজার সংক্রান্ত একটিমামলায় পরিবেশ আদালত জানিয়েছে, মাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য প্লাস্টিক, থার্মোকল ব্যতীত বিকল্প পদ্ধতি, যেমন পাটের ব্যাগ, পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বা ঝুড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। তা ছাড়া, মাছ ঢাকা দেওয়ার জন্য শালপাতা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে আদালত।
যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, আসলে নিষেধাজ্ঞার পরেও থার্মোকলের ব্যবহার যে হচ্ছে, সে বিষয়ে পরিবেশ আদালত সচেতন। মাছবাজার বা অন্যান্য বাজার এলাকায় যে এই ব্যবহার বেশি, তা-ও নজর এড়ায়নি আদালতের। এক পরিবেশবিজ্ঞানীর কথায়, ‘‘বার বার বলার পরেও যে এক বার ব্যবহারের প্লাস্টিক, থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ হয়নি, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আদালত। কোথায় কোথায় এই ব্যবহার হয়ে চলেছে ক্রমাগত, তা-ও আদালত ভাল করে জানে। তাই সম্ভবত সমস্ত মাছবাজারে থার্মোকল বন্ধের কথা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছে আদালত।’’
হাওড়া মাছবাজারে জৈব ভাবে পচনশীল (বায়োডিগ্রেডেবল) ও জৈব ভাবে পচনশীল নয় (নন-বায়োডিগ্রেডেবল), এই দুই ধরনের বর্জ্য পৃথক ভাবে সংগ্রহের জন্য আলাদা পাত্র রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জৈব পচনশীল বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী অঙ্কুর শর্মা বলছেন, ‘‘বাজারের চার দিকে থার্মোকলের বাক্স, ভাঙা থার্মোকল পড়ে থাকতে দেখা যায় আকছার। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তার জন্য থার্মোকল মজুত করা ও তার ব্যবহারের বিরুদ্ধে হাওড়া পুরসভাকে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে।’’ প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মানার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বাজার সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ করা এবং কী ভাবে পরিবেশবান্ধব ব্যাগের ব্যবহার চালু করা যায়, তার নির্দিষ্ট রূপরেখা দ্রুত ঠিক করে ফেলা হবে।