আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতদের। — নিজস্ব চিত্র।
নবান্ন অভিযানে ভাঙচুর, জগাছা থানার ওসিকে ইট ছোড়া-সহ নানা অভিযোগে ১৮ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করল জগাছা থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান করেছিল বিজেপি। সেই অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার সাঁতরাগাছি এলাকা। ওই ঘটনায় মোট ১৮ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীর কাজে বাধা দান, সরকারি কর্মীকে আঘাত, স্বেচ্ছায় আঘাত করা, সশস্ত্র অবস্থায় দাঙ্গা করা-সহ নানা ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাঁতরাগাছিতে বিজেপি সমর্থকদের ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন জগাছা থানার ওসি সতীনাথ চট্টরাজ-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী।
ধৃত ১৮ জনকে বুধবার হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। এদের মধ্যে চোদ্দজনের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে আদালত। চারজনের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন হাওড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট । কিন্তু চোদ্দজনকে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা আদালতে জমা দিতে পারেননি অভিযুক্তরা। আদালত জানিয়েছিল, ধৃতদের প্রত্যেককে জগাছা থানা এলাকার স্থানীয় পরিচিত একজনকে ‘সিকিউরিটি’ হিসাবে আদালতে পেশ করতে হবে। সেই ব্যক্তির বাড়ির হোল্ডিং নম্বরের প্রমাণপত্র অর্থাৎ দলিল কিংবা ট্যাক্সের বিল প্রমাণ স্বরূপ আদালতে জমা দিতে হবে। কিন্তু আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তা আদালতে পেশ করতে পারেনি। ফলে জামিন পেয়েও আপাতত জেল হেফাজতে থাকবেন অভিযুক্তরা।
মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর উপর হামলার ঘটনাতেও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, দেবজিৎকে মারধরের ঘটনায় বেলেঘাটার বাসিন্দা ৩৫ বছরের রবিকান্ত সিংহ, নিউ মার্কেট থানা এলাকার ২২ বছরের অনুপ সিংহ এবং এন্টালি থানা এলাকার শম্ভুবাবু লেনের বাসিন্দা ২২ বছরের সাহিল রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া রবীন্দ্র সরণি এলাকায় পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাতেও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।