শুক্রবার বিক্ষোভ স্কুলে। রবিবার ছাত্রীদের দেওয়া হয় সংশোধিত মার্কশিট। —নিজস্ব চিত্র
উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার দিন পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হুগলি জেলার আরামবাগ গার্লস হাই স্কুল। তার দু’দিনের মাথায়, স্কুল চত্বরে ভিন্ন ছবি দেখা গেল রবিবার। ফল ঘোষণার দিন অভিযোগ উঠেছিল, বিদ্যালয়ের ১৩৭ জন ছাত্রীর নম্বর কম এসেছে। দু’দিনের মধ্যে ১৩৭ জনেরই ফল সংশোধন।এমন তৎপরতা দেখে তাক লেগে গিয়েছে ছাত্রী এবং অভিভাবকদের।
আরামবাগের ওই স্কুলটিতে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রত্যাশী ছিলেন ২৬০ জন ছাত্রী। শুক্রবার যখন ফল প্রকাশিত হয় তখন ১৩৭ জন ছাত্রী অভিযোগ তোলেন, তাঁদের নম্বর প্রত্যাশার চেয়ে কম। এ নিয়ে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভও দেখান ছাত্রীরা এবং অভিভাবকরা। তার দু’দিনের মাথায় অবশ্য উল্টো ছবি ধরা পড়ল। স্কুলের তরফে ১৩৭ জনের হাতে সংশোধিত মার্কশিট তুলে দেওয়া হয় রবিবার। আগের দিন যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা খুশি নতুন সংশোধিত মার্কশিট পেয়ে।
প্রথম বার ফলপ্রকাশের সময় ওই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দেবলীনা দাস পেয়েছিলেন ৪৬৩। সংশোধনের পর তিনি পেয়েছেন ৪৮২। বিজ্ঞান বিভাগের মধুবন সরকারও পেয়েছেন ৪৮২। দেবলীনা বলছেন, ‘‘আমার নম্বর প্রথমে ছিল ৪৬৩। তা এ বার সংশোধিত হয়ে ৪৮২ হয়েছে। ওটাই আসার কথা ছিল। আশা করেছিলাম যে এটাই পাব। এত তাড়াতাড়ি ফল সংশোধন হয়েছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।’’ একই সুরে মধুবন বলছেন, ‘‘যে পদ্ধতিতে ফলাফল কষা হয়েছিল তাতে এমনই নম্বর আসার কথা ছিল। আমরা এটাই চেয়েছিলাম। এত দ্রুত ফল সংশোধিত হওয়ায় ভাল লাগছে।’’ এক অভিভাবক গৌতম দাসের কথায়, ‘‘ওদের মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণীর ফল নিয়ে হিসাব করে আমরা আঁচ করেছিলাম, কী রেজাল্ট হতে পারে। তার থেকে এতটা কম আসায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলাম। কিন্তু এখন স্কুল কর্তৃপক্ষ এত তাড়াতাড়ি ফল সংশোধন করে ছাত্রীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা সন্তুষ্ট।’’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাজশ্রী দে বলছেন, ‘‘পুর প্রশাসক তথা স্কুল কমিটির চেয়ারম্যানের সহযোগিতা, আমাদের তৎপরতা এবং সব কর্মীর সহযোগিতায় এই কাজটা করা গিয়েছে। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে নম্বর পাঠিয়েছিলাম। আমাদের ভুলভ্রান্তি ছিল না। হিসাবে কিছু সমস্যা ছিল। ১৩৭ জন ছাত্রীর ফলের হিসাবে সমস্যা হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে। আমরা খুশি।’’