চুঁচুড়া আদালতের পথে ধৃত হাসিনুর রহমান। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল পরিচালিত পান্ডুয়ার হরাল দাসপুর পঞ্চায়েতের প্রধান এবং ওই দলেরই এক নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগে আগেই এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান-সহ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ওই হামলার ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই ঘটনা বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে হরাল দাসপুরের অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শেখ রাজা সরকার, পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান হাসিনুর রহমান এবং আব্দুল হাই মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে ধরা হয়। বুধবার তাঁদের চুঁচুড়া আদালতে পাঠানো হয়। সোমবার, ঘটনার দিন রাতেই শেখ রুস্তম নামে আর এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনিসুল ইসলাম কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান অসীমা পাত্র বলেন, ‘‘পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক। কেউ অন্যায় করে থাকলে রেয়াত করা হবে না। আমি বিষয়টি সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি।’’
সোমবার রাতে হরাল দাসপুর পঞ্চায়েতের প্রধান করুণা ক্ষেত্রপাল এবং অঞ্চল তৃণমূলের যুব সভাপতি আসিফ মল্লিকের বাড়িতে হামলা এবং কাছেই একটি দলীয় কার্যালয়ের ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে রাজা সরকার, হাসিনুরদের বিরুদ্ধে।
আসিফ বলেন, ‘‘সোমবার রাতে হাসিনুরের নেতৃত্বে হামলা হয়। আমরা বৃদ্ধ বাবা এবং এক প্রতিবেশীকেও ওরা লাঠি-রড দিয়ে মারধর করে। বাবা এবং প্রতিবেশী চুঁচুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।’’ হাসিনুর মাঝেমধ্যেই ফোনে হুমকি দিতে বলে করুণাও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
করুণা বলেন, ‘‘হাসিনুর গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যায়। আমি প্রধান হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে পঞ্চায়েতের ভিতরে সমস্যা তৈরি করছিল হাসিনুর ও রাজারা। সমস্ত বিষয় দলের নেতাদের জানিয়েছি।’’