ভাইরাল ভিডিয়োয় ধরা পড়া ঘূর্ণিঝড়ের দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র
মাত্র কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল হুগলির তারকেশ্বর এবং ধনিয়াখালির বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঝড়ের জেরে ভেঙে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি এবং বড় বড় গাছ। পরে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে পৌঁছয় পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং দমকল বাহিনী। অন্তত ২০টি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তারকেশ্বরের দামোদর নদ সংলগ্ন জিয়ারা গ্রামে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায় ধুলোর কুণ্ডলী পাক খেতে খেতে এগিয়ে আসছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তারকেশ্বরের জিয়ারা গ্রাম থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় শক্তিক্ষয় করতে করতে এগিয়ে যায় ধনিয়াখালির নিশ্চিন্তপুরের দিকে। তার পর বর্ধমান জেলার কয়েকটি গ্রামেও ঝড়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জিয়ারা গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়াও নিশ্চিন্তপুর, হবিবপুর, মোহনপুর হয়ে সোনাগরিয়ার দিকে সরে যায় ঘূর্ণিঝড়টি। যার প্রভাবে ভেঙে পড়ে গাছপালা এবং ঘরবাড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে ঝড় উঠল। নিমেষে সব তছনছ করে দিয়ে চলে গেল। সন্তোষপুর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান রাজকুমার সাঁতরা বলেন, “প্রায় ২০টি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ১৫টা বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় সব কিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার ৩০ সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী এলাকা। ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয় তারণিপুর গ্রাম। ভেঙে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ি। উপড়ে যায় বেশ কয়েকটি গাছ। ফসলেরও ক্ষতি হয়।