Minor marriage

হুগলির গুপ্তিপাড়ায় নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন

চোদ্দ বছরের নাবালিকার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা আরএমসি ময়দান এলাকায়। কয়েকদিন আগে তাকে গুপ্তিপাড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুপ্তিপাড়া শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ২৩:৫০
Share:

নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন নিজস্ব চিত্র

নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন। হুগলির গুপ্তিপাড়ার মীরডাঙা রেল কলোনি এলাকার ঘটনা। ছাদনাতলায় বসার আগেই পঞ্চায়েতের সাহায্যে বিয়ে রুখে দেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের উদ্যোগে বিয়ে বন্ধ হওয়ায় নাবালিকা খুশি।

Advertisement

চোদ্দ বছরের নাবালিকার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা আরএমসি ময়দান এলাকায়। কয়েকদিন আগে তাকে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সেখানেই নাবালিকার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তার। রাত ৯টা নাগাদ বিয়ের লগ্ন ছিল।

সোমবার বেলার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন যার বিয়ে হবে সে নাবালিকা। শুধু তাই নয়, পাত্রের বয়সও মাত্র ১৯ বছর। এর পর স্থানীয়রা গুপ্তিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। অভিযোগ, পুলিশ চাইল্ড লাইনে ফোন করতে বলে দায় সারে। গ্রামবাসীরা এর পর চাইল্ড লাইনে ফোন করে কোনও উত্তর না পেয়ে গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতে খবর দেন।

Advertisement

খবর পেয়েই পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ও অন্য সদস্যরা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করেন। পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, ‘‘আমরা জানতে পারি এক নাবালিকাকে এখানে নিয়ে এসে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা দু’পক্ষকেই পঞ্চায়েতে নিয়ে আসি। পরিবার মুচলেখা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় নাবালিকাকে। অনেক সময় চাইল্ড লাইনকে বললে, তারা পুলিশকে বলতে বলে, আবার পুলিশ কখনও চাইল্ড লাইন দেখায়। সেই কারণেই কিন্তু গ্রামে এখনও বাল্যবিবাহ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement