Dhaniakhali

লোকসভা ভোটের পরেই ধনিয়াখালিতে পদ্মশিবিরে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ শতাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীর

শনিবার সন্ধ্যায় ধনিয়াখালি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই জনসভায় হাজির হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ধনিয়াখালি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ২৩:৫৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

লোকসভা ভোটে বঙ্গে ভরাডুবির পর এ বার হুগলিতে বিজেপিতে ভাঙন। ধনিয়াখালিতে দলের কো-কনভেনর, মণ্ডল সম্পাদক-সহ শতাধিক বিজেপি নেতা-কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় ধনিয়াখালি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই জনসভায় হাজির হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের হাতে জোড়াফুলের পতাকা তুলে দেন ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। যোগদানকারী বিজেপি নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পশ্চিমঙ্গের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তা ছাড়া, বিজেপিতে নিচুতলার কর্মীদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছুই দেখেন না উপরতলার নেতারা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এক নেতার কথায়, ‘‘হুগলিতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় হারবেন, এটা নিশ্চিত ছিল। কারণ ওঁর অহংকার কেউ মেনে নিতে পারেনি।”

বিধায়ক অসীমা বলেন, “ধনিয়াখালি বিধানসভার প্রায় আড়াইশো জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে এঁদের নেতৃত্বেই বুথে বুথে থাকা বিজেপির অন্যান্য কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন। বিজেপি দলটা ভারতবর্ষের জনগণের জন্য নয়। বাংলার জনগণের জন্যও নয়। বিজেপি একমাত্র শিল্পপতিদের সরকার। তাই তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এলাকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে শামিল হলেন।”

Advertisement

অন্য দিকে, বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সাধারন সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল ধনিয়াখালিতে সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করেছে। কয়েক দিন আগে বিজেপির এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তিনি এখনও হাসপাতালে ভর্তি। তৃণমূল ভয় দেখিয়ে বিজেপি কর্মীদের যোগদান করাচ্ছে। তৃণমূল মানুষের কথা বলে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement