নিজস্ব চিত্র
প্রায় ১০০ ফুট উঁচু জলের ট্যাঙ্কে এক ব্যক্তি উঠে পড়ায় তা নিয়ে হুলস্থুল-কাণ্ড বাঁধল হাওড়ায়। চার ঘণ্টা পর যখন তাঁকে নামিয়ে আনা হল, তাঁর কথা শুনে স্তম্ভিত পুলিশ! ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘হাওয়া খেতে উঠেছিলাম। খুব গরম লাগছিল।’’
রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন জলের ট্যাঙ্কে সিঁড়ি বেয়ে উঠে পড়েন ওই ব্যক্তি। ১০০ ফুট উঁচু থেকে নীচের দিকে তাকিয়ে বার কয়েক উঁকি মারতে দেখা যায় তাঁকে। উঁকি মেরেই আবার ভিতরে ঢুকে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ট্যাঙ্কের নীচে ভিড় হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাওড়া গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। সঙ্গে এসে পৌঁছন জিআরপি আধিকারিক এবং দমকলের কর্মীরাও।
প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় ওই ব্যক্তিকে ট্যাঙ্ক থেকে নামিয়ে আনেন পুলিশ আধিকারিকেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম বিট্টু প্রসাদ। বাড়ি অসমের লামডিং। গোয়ায় কাজ করতে গিয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ছ’মাস রিহ্যাব সেন্টারেও ছিলেন। মাসখানেক আগে হাওড়ায় এসেছিলেন। থাকতেন হাওড়া স্টেশন চত্বরেই।
কলকাতা ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার শ্যাম মণ্ডল বলেন, ‘‘কাজটা সহজ ছিল না। এটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। রাত ৯টা নাগাদ উদ্ধার করার পর ওই যুবককে চিকিৎসার পর গোলাবাড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়।’’