Hooghly

‘মা’ ডেকে দরজার সামনে পড়ে গেলেন জামাই! উত্তরপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু রাজমিস্ত্রির

পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ সালারের বাসিন্দা বাবিসোনা দাস (২৮)। দু’দিন আগে তিনি হুগলির কোন্নগরের নবগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। শনিবার তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:২৬
Share:

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে রহস্যমৃত্যু রাজমিস্ত্রীর। —প্রতীকী চিত্র।

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম বাবুসোনা দাস। পেশায় রাজমিস্ত্রি বাবুসোনাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। এ নিয়ে হুগলির উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ সালারের বাসিন্দা বাবিসোনা দাস (২৮)। দু’দিন আগে তিনি হুগলির কোন্নগরের নবগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। শনিবার স্থানীয় এক ঠিকাদার স্বপন দাসের কাছে গিয়েছিলেন কাজের ব্যাপারে। ওই ঠিকাদার জানান, বাবুসোনা তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি যান। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরই বাবুসোনার ভাইয়ের ফোন পান তিনি। জানান, তাঁর দাদাকে কেউ ছুরি মেরেছে বলে খবর পেয়েছেন। অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, মাস পাঁচেক আগে বাবুসোনা কাজের সূত্রে উত্তরপাড়া এলাকায় এসেছিলেন। তার পর আবার দিন দুই আগে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। অন্য দিকে, বাবুসোনার পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খুন করেছে। যদিও কী কারণে খুন হতে পারেন, তা তাঁদের অজানা বলে জানান। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

মৃতের শ্বাশুড়ি মিনতি দাস বলেন, ‘‘জামাই এখানে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। গতকাল (শনিবার) বাড়ির বাইরে কারও সঙ্গে ওর ঝগড়া হয়। ‘মা’ ডাক শুনে বাইরে এসে দেখি জামাই পড়ে যাচ্ছে। আমি তাকে গিয়ে ধরি। একজনকে তখন পালিয়ে যেতে দেখেছি। কী হয়েছিল, কে মারল সে সব ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেনি জামাই।’’ বাবুসোনার বাবা গোবর্ধন দাসের দাবি, ছেলে শ্বশুরবাড়িতে ছিল। সেখানে তাঁকে কেউ খুন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘কে মেরেছে জানি না।তবে ওর শাশুড়ি তো বাড়িতে ছিলেন।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শীগ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement