—প্রতীকী চিত্র।
অশান্তি করে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন স্ত্রী। সেই রাগে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন স্বামী। স্ত্রী, শ্বশুরকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে শ্বশুরবাড়িতেই আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাটের কামারপুকুরে। ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম রাজেশ দাস। ৩৮ বছরের ওই যুবকের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। শুক্রবার বিকেলে তিনি গোঘাটে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তার পর ওই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, প্রথমে স্ত্রী সুস্মিতা দাসের সঙ্গে বচসা শুরু হয় রাজেশের। কিছু ক্ষণ বাদেই স্ত্রীকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করতে যান তিনি।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে সপ্তাহ খানেক আগে জয়নগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে কামারপুকুরে বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন সুস্মিতা। স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে কামারপুকুরে শ্বশুরবাড়িতে আসেন রাজেশ। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতেও স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় তাঁর। বচসা চলাকালীন একটি ছুরি নিয়ে স্ত্রীর উপর তিনি হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। জামাইয়ের কাণ্ড দেখে বাধা দিতে যান শ্বশুর। কিন্তু সুস্মিতার বাবাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি আহত হন। ছুরির খোঁচায় রক্তাক্ত হন সুস্মিতাও। পরিবারের সদস্যেরা ছুটে আসেন। সবাই যখন সুস্মিতা এবং তাঁর বাবার শ্রূশুষায় ব্যস্ত ঠিক তখনই রাজেশ একটি ঘরে ঢুকে যান বলে দাবি করা হয়েছে। সেখানে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস নেন। যত ক্ষণে তাঁকে উদ্ধার করা হয়, তত ক্ষণে তিনি আর জীবিত নেই। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোঘাট থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুরু হয়েছে তদন্ত।