রাজেন হালদার। নিজস্ব চিত্র
হুগলির রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমির ছাত্র রাজেন হালদার এ বার মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। নুন আনতে পান্তা ফুরনো হালদার পরিবারের ভাড়া বাড়ির এক চিলতে ঘরে তাই বৃহস্পতিবার থেকেই খুশির হাওয়া।
রাজেনের বাবা ধনঞ্জয় রঘুনাথপুর এলাকায় বাসন তৈরির কারখানার চাকুরে। মা মাধুরী গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। রাজেন আর রাজেশ—দু’ছেলেকে নিয়ে তাঁদের সংসার। তাঁরা জানান, টানাটানির সংসারে দুই ছেলের মুখে দু’বেলা খাবার জোটানোই তাঁদের বড় দায়। তার উপর লেখাপড়া চালানো রীতিমতো কঠিন। সেই কারণেই দুই ছেলেকে গৃহশিক্ষক দেওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারতেন না ধনঞ্জয়-মাধুরী।
হালদার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় একটি সংস্থা। রাজেন জানায়, রঘুনাথপুরে একটি সংস্থার উদ্যোগে সন্ধ্যায় অবৈতনিক শিক্ষাকেন্দ্রে সে পড়তে যেত। সে তার ৫৩০ নম্বর পাওয়ার কৃতিত্বের শরিক করেছে ওই সংস্থাকেই। আগামী দিনে রাজেন পলিটেকনিক পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। তার কথায়, ‘‘বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ার ইচ্ছে আছে আমার। কিন্তু ওখানে পড়ার যা খরচ তা কী করে জোগাড় করব, জানি না।’’
‘প্রেরণা’ নামে ওই সংস্থার পক্ষে প্রীতম চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘‘রাজেনের পড়াশোনায় যাতে ছেদ না পড়ে, সেটা আমরা দেখব। তবে বাকি অংশের দায়িত্ব অন্য কেউ নিলে উপকার হয়।’’